ঈদ সংখ্যায় এক ধরণের আনন্দ-উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। কিন্তু সেই আনন্দটা ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন এক ভয়াবহ মৃত্যুযন্ত্রণা! ইস্রাইলিদের অমানবিক এই বর্বোরোচিত হামলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় হাজার খানেক। যার এক তৃতীয়াংশই শিশু। নিষ্পাপ শিশুদের স্মরণে সাতদিন ঈদ সংখ্যার বদলে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে নিবেদন করছে- বিশেষ পঙক্তিমালা।
-সম্পাদক/সাতদিন
খালেদ এল-হিবরের কবিতা আমরা ভাল আছি, তোমরা?
ভাষান্তরঃ হাসান ফেরদৌস
[গাজা জ্বলছে, মরছে মানুষ। আক্রান্ত গাজার নরনারীদের কথা স্মরণ করে এক কাল্পনিক ইসরায়েলি বন্ধুর উদ্দেশ্যে এই গানটি লিখেছেন প্যালেস্টাইনি গায়ক ও কবি খালেদ এল-হিবর। ইংরেজি অনুবাদের ভিত্তিতে ভাষান্তরিত।]
তোমরা?
ভাল, যদিও আক্রান্ত
আর তোমরা?
আমাদের শহীদেরা এখন ধ্বংসস্তূপের নীচে
শিশুরা আশ্রয় নিয়েছে তাবুতে
ওরা জানতে চায় তোমরা কেমন আছ?
গাজায় আমরা ভাল আছি।
তোমরা?
আমাদের পশ্চাতে সাগর
সম্মুখে শত্রুতবু লড়ছি
খুব প্রয়োজনীয় যা তার সবই আছে, যেমন
রুটি ও অস্ত্রশান্তির প্রতিশ্রুতি, তাও।
আমাদের কথা মনে করার জন্য ধন্যবাদ
গাজায় আমরা ভালই আছি
তোমরা?
আমাদের হৃদয় আমাদের ক্ষত
আমাদের আকাশ
আমাদের মুখমন্ডল
আমাদের লহু
আমাদের চোখ আমাদের কফিন
ওরাই আমাদের রক্ষা করে
তোমাদের আগুনের গোলা থেকে
তোমাদের প্রতিশ্রুতি থেকে
তোমাদের কথার ফুলঝুরি থেকে
তোমাদের খঞ্জর থেকে।
গাজায় আমরা ভালই আছি
তোমরা?
ওয়ালিদ খাজিন্দার’এর কবিতা অদৃশ্য আলো
ভাষান্তরঃ অজিত দাশ
[ওয়ালিদ খাজিন্দার ১৯৫০ সালে গাজায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফিলিস্তিনের একজন খ্যাতনামা কবি। ১৯৯৭ সালে প্রথম ফিলিস্তিনি হিসেবে কবিতায় পুরস্কার লাভ করেন।]
নগ্ন গাছে ঝুলে আছে শীতের মৌসুম
তোমার হাতের মুঠো থেকে
ছোট্র পাখিটিকে মুক্ত করে দিয়ে
একটু স্থির আর লাজুক হাসি দাও
আমি দেখি নিদারুন মানসিক যন্ত্রণা।
আমরা কি গাইবো আবার!
যেভাবে উষ্ণ ছিলাম- হাতে হাত রেখে,
জ্বলজ্বলে সূর্য থেকে একটু ছায়ায়
আমরা কি এভাবে থাকতে পারিনা?
প্রয়োজনের চেয়ে আরো সুদৃশ্য করে
আলো জ্বালাবো, একটু নীরবে?
অন্ধকার ক্রমশ বাড়ছে; আমাদের সতর্ক হতে হবে
এবং এই অদৃশ্য আলো আমাদের একমাত্র ভরসা-
এই বিপন্ন শিখা, শুরু থেকেই জ্বলছে
ঝিকিমিকিয় হয়ে, আসন্ন বিপদের দিকে
আমার কাছে আসো, আরো কাছে...
আমি অক্ষম- কিছুতেই বলতে পারিনা
আমার হাতে হাত রাখ।
চলো জেগে থাকি যেনো শুভ্র ঝরে
আমাদের প্রাণ না চলে যায়।
………………….
অল কান্ট্রিস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সেপ্ট ইসরাইল ][ সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল
অল কান্ট্রিস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সেপ্ট ইসরাইল ][ সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল
ইহুদি-নদীতেও রক্তজল!
জবাইযন্ত্রণা থেকে ছিটকানো-
মাংস-মগজ দিয়ে বারবিকিউ বানাও।
খাও রক্তস্যুপ!
খাও রক্তস্যুপ!
গাজার লোভে জেরুজালেমের জালেম-
শিশুদের কাল্লা নিয়ে ছকার খেলে,
মেলে ঈগলের ডানা
মেলে ঈগলের ডানা
তাঁদের জন্য কেউ কেউ তৈরি করে রুটি ও রুটিন!
রক্তমাখা অস্থির অক্ষর দিয়ে আবারো কি লেখা হবেঃ
All Continents of the world except Israel.
...। Olive Branch of Palestine ] [ Syed Rumman
ধ্বংসের বিপক্ষে কবিতা ][ আহমেদ স্বপন মাহমুদ
৩.
লাশের মূল্য ][ আবু মকসুদ
...। Olive Branch of Palestine ] [ Syed Rumman
You were mistaken since the day you thought it was my weakness,
Rather I gave you the chance to rethink,
Rethink to return me the shadow of my olive tree—
But, you showered me with the inglorious century!
You thought you owned my olive branch;
Oh dear! You forgot—the garden still says my name; belongs to me!
I am the life of all the lifeless!
The sun I gave you still rises from here,
The days you see are gifts of my wishes;
Remember—oh forgotten boys—you had never had the name until I gave you!
You are immersed in lies; your pathways are anchored in the falsehood.
Your endless enmity named you as a vampire bat.
The lives you are taking are given away by us—in the name of truth;
They will revive in strength—
Our numbers are countless in sands!
Our one becomes the millions going beyond the land!
Today, listen to the whisper until I scream—
Olive colour lies in my every drop of blood;
My one earthquake will be your last breath.
Therefore, I say —
"Today
I come to you bearing an olive branch in one hand,
And
A freedom fighter's gun in another. Do not let the olive branch fall from my hand.
I repeat: do not let the olive branch fall from my hand."
21 July 2014, London
(Late Yasser Arafat, the leader of PLO, addressed the United Nations General Assembly for the first time on 13 November 1974. His speech known as " The Olive Branch Speech of Arafat" in the pages of history regardless of any controversies.)
রক্তনেশা আর মানবতা ][ মাহবুব হাসান
দুনিয়া জোড়া রক্তনেশা যেনো হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে,
তার কেন্দ্রে ফিলিস্তিন, মসজিদ উল আকস।
আর নেকড়েগুলো তার চারপাশে একবার ইসরাইলি
আর একবার ইহুদি হচ্ছে।
তারা মানুষ নয়, অন্য কোনো প্রাণী!
এই ঘোর আমাকে বহু বছর ধরে শিকারির বল্লম হয়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে,
উর্ধ্বশ্বাসে আমি ছুটছি এক আকাশ থেকে অন্য সবুজ আকাশে, আর
দেখছি সবুজ কি করে লাল হচ্ছে, রক্তে-রঞ্জনায়।
এই পরাবাস্তব আমাকে একবার খেয়ে হজম করে ফ্যালে,
আর একবার উগড়ে দেয়-----
যেন আমি এক বদহজম মানুষ,
তিমির পেট থেকে আমি বেরিয়ে এসে দেখি লোহিত সাগরের
লালিম বালুবেলায় দাঁড়িয়ে আছেন ইউনূস নবী----
একা, মুক্ত-স্বাধীন, নির্ভার।
আমি কে? এই প্রশ্ন মনের ভেতরে দানা পেতে পেতেই
জবাব পেলাম--- তুমি ফিলিস্তিন।
সমস্ত ইতিহাসের ভেতরের ইতিহাস।
তুমি বাঙালি, কেননা তুমি বাংলায় কথা বলো। তোমার চিন্তাস্রোত
তোমাকে বঙ্গোপসাগরে চুবিয়ে তুলে এনেছে
তোমার মাটিতে। তোমার মাটিও আজ কারবালার বালুর মতোই তপ্ত,
ফিলিস্তিনিদের নিঃশ্বাসের মতোই ক্ষুধার্ত,
তুমি নিশ্বাস নিতে পাও না। শ্বাস কষ্টের রোগ তোমার জন্মাবধি!!
তোমার বেদনারা ধূলিকণা হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের লু হাওয়ায়
ঘোরপাক খায়। জলপাই বনে খোঁজে স্বাদু জীবনের ঘের!!!
তুমি বেদুইনের চক্রবালে পড়ে আজ দিশাহারা,
অথচ তুমি মুক্ত-স্বাধীন!!!
কলুণাময়ের মতোই, অবিশ্বাসীর পতাকার মতোই
পতপত করে উড়ছো ভূ-মধ্যসাগরের পাড়ে
রক্তাক্ত, নাজেহাল
ফিলিস্তিন।
ফিলিস্তিন ][গোলাম কিবরিয়া পিনু
দুনিয়া জোড়া রক্তনেশা যেনো হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে,
তার কেন্দ্রে ফিলিস্তিন, মসজিদ উল আকস।
আর নেকড়েগুলো তার চারপাশে একবার ইসরাইলি
আর একবার ইহুদি হচ্ছে।
তারা মানুষ নয়, অন্য কোনো প্রাণী!
এই ঘোর আমাকে বহু বছর ধরে শিকারির বল্লম হয়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে,
উর্ধ্বশ্বাসে আমি ছুটছি এক আকাশ থেকে অন্য সবুজ আকাশে, আর
দেখছি সবুজ কি করে লাল হচ্ছে, রক্তে-রঞ্জনায়।
এই পরাবাস্তব আমাকে একবার খেয়ে হজম করে ফ্যালে,
আর একবার উগড়ে দেয়-----
যেন আমি এক বদহজম মানুষ,
তিমির পেট থেকে আমি বেরিয়ে এসে দেখি লোহিত সাগরের
লালিম বালুবেলায় দাঁড়িয়ে আছেন ইউনূস নবী----
একা, মুক্ত-স্বাধীন, নির্ভার।
আমি কে? এই প্রশ্ন মনের ভেতরে দানা পেতে পেতেই
জবাব পেলাম--- তুমি ফিলিস্তিন।
সমস্ত ইতিহাসের ভেতরের ইতিহাস।
তুমি বাঙালি, কেননা তুমি বাংলায় কথা বলো। তোমার চিন্তাস্রোত
তোমাকে বঙ্গোপসাগরে চুবিয়ে তুলে এনেছে
তোমার মাটিতে। তোমার মাটিও আজ কারবালার বালুর মতোই তপ্ত,
ফিলিস্তিনিদের নিঃশ্বাসের মতোই ক্ষুধার্ত,
তুমি নিশ্বাস নিতে পাও না। শ্বাস কষ্টের রোগ তোমার জন্মাবধি!!
তোমার বেদনারা ধূলিকণা হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের লু হাওয়ায়
ঘোরপাক খায়। জলপাই বনে খোঁজে স্বাদু জীবনের ঘের!!!
তুমি বেদুইনের চক্রবালে পড়ে আজ দিশাহারা,
অথচ তুমি মুক্ত-স্বাধীন!!!
কলুণাময়ের মতোই, অবিশ্বাসীর পতাকার মতোই
পতপত করে উড়ছো ভূ-মধ্যসাগরের পাড়ে
রক্তাক্ত, নাজেহাল
ফিলিস্তিন।
ফিলিস্তিন ][গোলাম কিবরিয়া পিনু
কার
জন্য কার কাতরতা?
আগ্রাসনের লেজটি দিয়ে
পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ধরছে
পুরো
ফিলিস্তিন,
ড্রাগনটি নাচতে নাচতে
আরও বৃহদাকার হয়ে
যায়
শরীরে
আরও শক্তি পায়!
সেই সাথে ড্রাম বাজিয়ে চলেছে কারা?
তারা
বলছে ‘শান্তি’! ‘শান্তি’! ‘শান্তি’!
পরিষ্কার আকাশে বোমারু বিমানের কী
গর্জন
গ্রাম
ও নগরে ট্যাঙ্কের উন্মাদ চলাফেরা,
শুধুই
হত্যার আনন্দে অর্গানে তোলে সুর
–কোন্
সে অসুর?
এরপরও
সহনশীলতার মাত্রায়
বরফস্তব্দতা নেমে আসবে?
ধ্বংসের বিপক্ষে কবিতা ][ আহমেদ স্বপন মাহমুদ
গাইছি, পান করছি, হাসছি, খেলছি
তাকেও ভুলছি
তুলছি যে-কুমীর খাল কেটে
নামছে না, কামড়াচ্ছে
থামছে না
খামছে ধরছে যেসব শুয়োর ও পোকামাকড়
তারাও পাচ্ছে না ভয়, তাড়ালেও
যাচ্ছে না সরে
অদ্ভুতুরে, সব।
কীসব উল্টাপাল্টা সময় চলছে
মানুষ গলছে
পাহাড় টলছে
খুন থামছে না, চলছে।
বলছে যারা করছে না কিছু
করছে যারা বলছে না
তারাও চুপ, মৃত্যূকূপ
নীরব, শবাধার বাড়ছে।
এদিকে মরছে মানুষ, খুন হচ্ছে
ছেঁড়া দেহ, কাটা হাত-পা, মাথা-মুণ্ড
কাতরাচ্ছে
গুলি ছুঁড়ছে, বোমায় পুড়ছে
রক্ত ঝরছে
লাল কলজে, হৃৎপিণ্ড থেমে যাচ্ছে।
আমরা বেঁচে থাকছি
ওরা মরে যাচ্ছে
ওরা বেঁচে যাচ্ছে।
আমরা লাশ হয়ে পড়ে থাকছি
গুমরাচ্ছি, কাতরাচ্ছি
বেঁচে থাকছি, পান করছি
লাল কলজে-- রক্ত, পুঁজ, হিংসা
জিঘাংসা ও বিদ্ধেষ।
২.
মহাসূর্যের গলিত আত্মায়
লাল লাল রক্তস্রোতে
মিশে যায়
শিশুদের মুখ, যীশুদের মুখ
অপরাগতায়।
প্রতিটি শিশুর অন্তর অগণন তারার আকাশ।
বিক্ষত বাতাসের লাংস
দীর্ঘতর যত আগুনের শ্বাস
লাশ আর লাশ
হাহাকার হয়ে বাজে।
সকল সূর্যের রণ
আগুনের উদগীরণ
মায়েদের আহজারি
পিতার সমস্ত আর্তনাদ
স্বজনের বিষাদ অন্তর
অনূদিত হয়ে
জগতের সমস্ত আকাশে ওড়ে
গ্রহান্তর।
মহাসূর্যের নীরবতা
মানবতা আজ পোড়ে।
সমস্ত আগুন
দৈত্যের সকল ড্রোন
নিভে যাবে
সাম্রাজ্যশক্তির সকল রিরংসা
পুঁজির সমস্ত জিঘাংসা
মিলাবে
অন্তরের অকাঙ্ক্ষার সমান
ফিলিস্তিন লাল কলিজার অনিবার্য উত্থান।
মহাসূর্যের অন্তরের রেণু থেকে
লাল রক্ত এনে
জগতের সমস্ত আগুনে
সভ্যতায়
মিশে যায়
প্রতিবাদে
প্রতিরোধে
মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়
অধিকৃত ভূখণ্ডের স্বাধীনতা
বাতাসে উড্ডীন
ফিলিস্তিন|
-
৩.
তোমরা তখনো নীরব ছিলে এবং
আবারও।আমাদের শিশুদের মুখে
রাইফেল; তোমাদের শিশুরা দুধ খাচ্ছে
না বিষ, তোমরা জানো না।
সময় এমন দুর্ভাগ্য আমাদের!
স্বামীরা যুদ্ধে গেছে ফিরে নাই আর
বোনেরা বাইরে গেছে ফিরে নাই আর
শিশুরা মাঠে গেছে ফিরে নাই আর।
আমরা ঘরে বন্দী হয়ে আছি
আমাদের ঘেরদোর জ্বালিয়ে দিয়েছে
দথলদারীরা। অন্যায়ভাবে আমরা
পুড়ে মরছি, উপত্যকায়।
তোমরা ঘুমাচ্ছ নীরবে, শান্তিতে!
তোমাদের বিবেক বন্দক দিয়েছ
ক্ষমতার কাছে নতজানু হয়ে
আমরা লড়াই করছি তবু
স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার।
তোমরা তখনো নীরব ছিলে এবং
আবারও। আমরা মরে যাচ্ছি দেখেও
তোমরা কাতর হচ্ছো না।হাসছো, খাচ্ছো!
মুখ ফিরিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছো বিপরীত।
অথচ তোমাদের শিশুরা বিষ খাচ্ছে
অত্যাচারীর পেয়ালায়, তোমরা টের পাচ্ছো না
পরাধীনতার শেকল তোমাদের পায়ে
কতোটা শক্তভাবে জড়িয়ে আছে।
সূর্য উঠবেই কাল, সূর্য উঠবেই
জাগবেই আমাদের মৃত শিশুদের আর স্বজনের
প্রাণ, শাণ দিয়ে প্রতিটি আঙুলে ওরা অস্ত্র ধরবেই
অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আমরা হাসবোই কাল বা পরশু।
তখন তোমাদের শিশুদের সামনে বন্দুক
তোমাদের মুখের সামনে স্বজনের লাশ
তোমরা আহাজারি করছো, কাতরতায়
কেবল মৃত্যুই তোমাদের সামনে উন্মুক্ত।
তোমরা বেছে নিয়েছিলে এমন নীরবতা
কাল হয়ে তোমাদের গ্রাস করছে তখন।
সূর্য উঠবেই কাল আমাদের।
জেগে উঠবেই স্বপ্নদের প্রতিটা মুখ।
৪.
খেলা জমেছিলো খেলা নেই অfর
ভিজে ছিলো যাহাদের চোখ জলে
মুছে গেছে অশ্রুরেখা জন কোলাহলে
সহস্র মুখের তরে, বিক্ষোভ তোমার।
মিশেছিলো প্রত্যাশার স্বপন কোমল
ছিলো কিছু জিঘাংসা হিংসা ও বিদ্বেষ!--
সমিয়িক!তবু তার রয়ে গেছে রেশ--
পরাজয়-জয় হাওয়া জীবনের জল।
ছিলো কিছু দোলাচল রাত, উদ্বিগ্ন সজাগ
ছিলো কিছু তারা, মিটিমিটি জেগেছিলো সাথে
কিছু হল্লা কিছু হুল্লোর কিছু গোল্লার উৎপাতে
নেমেছিলো প্রাত্যহিক ভোর, ঘোর অনুরাগ।
মাঠ তবু রয়ে গেছে জন-কোলাহলে, দুর্দিনে
জানের শত্রু তবু ছাড়ে নাই পিছু মৃত্যু-উপত্যকায়
কচি কচি মুখ বৃথা খুন হয় আবালবৃদ্ধবণিতায়
আমি কিছু মরে যাই, খেলা থামে নাই ফিলিস্তিনে...
লাশের মূল্য ][ আবু মকসুদ
দেখার খায়েস ছিল বলতে পারব না
কিন্তু দেখলাম, দেখতে বাধ্য হলাম
গাজার শরণার্থী শিবিরে
একটা ইজরায়িলি বোমা
আঘাত হানলে
দেখতে পেলাম
মানবদেহ থেকে ছিটকে পড়া পা
পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসা নাড়ীভুঁড়ি
দেখতে পেলাম
ঝলসানো একটা মুখ, অন্ধকারাচ্ছন্ন
তবে কোন আর্তনাদ শুনতে পেলাম না
জানলাম মৃত্যুর রঙ হচ্ছে অন্ধকার
বেদনার কোন ধারণা ছিল না
একটা ছোট মেয়ে
হাত আলতো করে ধরে
চোখে চেয়ে থাকল, উত্তরের অপেক্ষায়
উত্তর, আমি কি জানি
প্রগাঢ় নিশ্বাস
জানিয়ে দিল অক্ষম কলমে
করা যায় না রেখাঙ্কন
মূক ক্যামেরায় মাপা যায় না
চোখের জলের গভীরতা
অক্ষম প্রচেষ্টায় আমি
পড়তে চাইলাম
দৃষ্টির উপারে দেখলাম
তাঁর সহোদর এবং পিতার
লাশ পড়ে আছে ঐ দূর পাহাড়ে
তাঁর মাতা এবং বৃদ্ধ দাদী
শুয়ে আছে
নিজেদের শোবার ঘরের
কবরে
আমার অক্ষমতা প্রখর হলে
উঠলাম
তখনই একটা ধীশক্তি বুলেট
উড়ে এসে বিদীর্ণ করল মেয়েটির পাঁজর
আমার অক্ষম কলমের নিব জানান দিলো
মৃত্যু খুব সহজ, গাজায়
মৃত্যু পাওয়া যায় অল্প মূল্যে
কখনোবা একেবারেই বিনামূল্যে
এ সময় ও ঘুমিয়ে থাকে ][ শামস আল মমীন
[ফিলিস্তিনি একটি শিশুর দিকে তাক করা তিনটি রাইফেল দেখে]
এ সময় ও ঘুমিয়ে থাকে ][ শামস আল মমীন
[ফিলিস্তিনি একটি শিশুর দিকে তাক করা তিনটি রাইফেল দেখে]
তার দিকে তাক করা তিনটি রাইফেল
তিনজন সৈন্য তাকেঘিরে।
ছেলেটি কি জানে কি ওদের কাজ?
ছেলেটি কি জানে কি তাদের পরিচয়?
ছেলেটি কি জানে গাজায় মৃতের সংখ্যা এখন কতো ?
ছেলেটি তাকিয়ে আছে ওদের হেলমেটের দিকে
ছেলেটি তাকিয়ে আছে ওদের সাজসজ্জার দিকে
ছেলেটি তাকিয়ে আছে চকচকে বেয়নেটের দিকে।
ওরা দেখতে ঠিক তার বাবার মতো
ওরা দেখতে ঠিক তারপাশের বাড়ীর চাচার মতো, কিন্তু
বাবার চোখ ওরকম লাল ছিল না
চাচার হাতে কোন অস্ত্র ছিল না
এখন ভোর..
ওর খুব ঘুম পাচ্ছে
এ সময় তো ও মা’র বুকে ঘুমিয়ে থাকে,
এ সময় কেউ তাকে ঘরের বাইরে দেখেনি কোনদিন।
ও কি জানে ওর ছোট্ট বিছানাটি আর নেই
ও কি জানে ওর রঙিন খেলনাগুলো আর নেই
ও কি জানে ওর মা’র বুক বুলেটে বুলেটে ছিন্ন ভিন্ন।
তিনজন সৈন্য তাকে ঘিরে
তার দিকে তাক করা তিনটি রাইফেল
তুমি কি জানো,
একজন পিতা কত কষ্টে দেখে মৃত সন্তানের মুখ
তুমি কি জানো,
একজন পিতা কত দুঃখে কবরে শোয়ায় আপন ছেলেকে।
এখন ভোর..
ও ঘুমোচ্ছে..
ওর চোখে খুব ঘুম
এ সময় মার বুকে এ ভাবেই ও ঘুমিয়ে থাকে।
*অজান্তিকের সৌজন্যেগাজা ][ কচি রেজা
শিশুকে চুমু খাওয়ার সময় কতটা মনে পড়ে
এখন পোশাকবিপনী আর গ্রোসারিতে কি করে চলে দরদাম
এখনও রান্না-খাওয়ায় তুখোড় বাছাবাছি
শোনো নি, ওইযে শিশু, ওইযে কিশোরির কান্না
তুমি আজ ভোরের সূর্যটা কালো দেখবেই
তুমি দুপুরের ভাতে দেখব, কার যেন ক্ষুধা আর ক্ষুধার্ত মুখ
তুমি কন্যার উরু বেয়ে গড়াতে দেখবে রক্ত
তাকাও গাজার ওই মায়ের দিকে
খন্ড খন্ড হাত-পা
গাজার ওই তরুন-কে দেখ, সামাজ্যবাদ পুড়িয়ে দিয়েছে তার খোরাকি
এসো, জগতের সব পররাজ্য লোভিদের আজ বিনাশ কামনা করি
সম্মিলিতভাবে তাদের জন্য একটি কাফন বানাই আজ
কী আর করতে পারে মানুষ!][ সাইফুল ওয়াদুদ হেলাল
মানুষ পথে নামে নিউইয়র্কে
মানুষ পথে নামে তেল আবিব এ
মানুষ পথে নামে অটোয়ায়...
মানুষের শক্তি একটাই,
মানুষ পথে নামতে জানে।
মানুষ কন্যার জন্য কাঁদে
মানুষ পুত্রের জন্য কাঁদে
মানুষ পিতার জন্য কাঁদে
মানুষ জননীর জন্য কাঁদে...
মানুষ মানুষের জন্য কাঁদে।
প্রতিবাদ করে মুসলমান
প্রতিবাদ করে ইহুদী
প্রতিবাদ করে হিন্দু
প্রতিবাদ করে বৌদ্ধ, জৈন, খৃষ্টান...
মানুষের শক্তি একটাই,
মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ করে।
মানুষের শক্তি মানুষ,
মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।
ধৃতরাষ্ট্রের দেশে ][ শেখর দেব
ধৃতরাষ্ট্রের দেশে ][ শেখর দেব
দেহের বিৰত মাংসের সমান হিংস্র সভ্যতা!
মানুষ কবে মানুষ হবে মধ্যপ্রাচ্যের গুহায়?
পবিত্র শিশুর বাগানে যে ঢালে আগুনের লাভা
সে কী মানুষ হবে না?
পিলে চমকানো যে ছবি ফোটে বোমার হুঙ্কারে
তাতে ধৃতরাষ্ট্রদের চোখের ঠুলি কখনো যাবে না খুলে
মানুষ জাগো
জেগে ওঠো আলো হয়ে অন্ধ রাজাদের চোখে!
অভিশপ্ত সত্ত্বা ][ মৌসমী রহমান
রেখে যায় শতাব্দীর চিহ্ন মৃত পশুদের মাঠে।
খুদে চাষার বিলাপ থামেনা
যখনি দেখে ত্রিখন্ডের ছোট মাঠখানি।
এখনো শকুনের ক্ষুধা থামেনি
আকাশ মাটিতে প্রহরায় রত
ছোবোলে হারায় অগন্তি প্রাণ
উচ্ছাসে হাসে দেখে ছোট্ট শিশুর চোখের কোটরে রক্তজল।
খুনের নেশাগ্রস্ত প্রজ্জলিত চোখে পাশুটে
নেকড়ে ঘুরে বেড়ায় শিকার সন্ধানে।
রক্তের গন্ধ শুকে শুকে ছুটে তীর বেগে মৃত কবরের দিকে
হিসেব কষে কত হলো মৃতের সংখ্যা।
যান্ত্রিক শৈল্পিক সভ্যতা ছুঁয়েছে দাবানল,
তবে চিত্তের উৎকর্ষ হয়নি যুগের ঝামায় ঘষেও।
বলো ঈশ্বর কি জানে প্রার্থনায় কি হয়
তবে তো আছরে পরতো অলৌকিক
উল্কা পিন্ড জেরুজালেমের ভূমিতে।
অত্যাচারী যুদ্ধাপরাধীর দল
এ পরাজয়ের গ্লানি মুকুট হবে শিরে অন্তর্ধাণে।
রক্ত চক্ষু তোমার ] [ শাহীনা কবীর
আজীবন নতজানু হয়ে থাকব তোমার পায়ের কাছে
ভুল, তুমি ভুল করবে এমন ভাবনা ভেবে থাকলে।
হিংস্র শ্বাপদ যদি ভাব, তোমার রয়েছে হিংস্র থাবা
তুমি ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে সভ্যতার সভ্যদের আবাস
মস্ত তোমার ভ্রান্তবিলাশ, এমন ভাবনা রেখ তবে যেনে।
আসিতে তোমার বিষ, মাথায় কুলোপনা এইতো অহঙ্কার!
নীল ছোবলে নিভীয়ে দেবে জীবনের জেগে থাকা প্রদীপ
তুমি জানোনা আমি তবে দক্ষ ওঝা অমন বিষ দাঁত ভাঙতে।
নিকষ আঁধার তুমি যদি ভাব আমার পথের বিভীষিকা হবে
থামিয়ে দেবে আমার চলা, ঝঞ্ঝা হয়ে খেলবে আমার সাথে
আমি তবে দুরন্ত পথিক, এগিয়ে আমি যাবই মরণকে পেছনে ফেলে।
গাজার আহত সন্তান ][ মুহাম্মাদ আখতার হুসাইন
বিধাতা আমাকে সে অধিকার দিয়েছেন।
আমাকে উল্টে ফেললেও বিধাতাকে পাল্টাতে পারবে না,
আমার নালিশ করার দরকার নেই, বিচারও চাই না.
শুধু জানতে ইচ্ছে করে
অমানবিকভাবে যা করছো তারপরেও
তোমরা নিজেদেরকে মানুষ মনে করো কোন সাহসে!!
দুঃস্বপ্নের ভিতর ][ তাহমিনা শহীদ
যতই সে, পৃথিবীর তাবৎ অ-সুখ থেকে
অনাগ্রহের চোখ দুটো বুজে,
স্বপ্ন স্বপ্ন , কানামাছি খেলবার আনন্দে,
আদরের পাশবালিশ'কে বুকে চেপে,
চাঁদ ,ফুল আর জোছনার কল্পনায় হেলান দিয়ে
ঘুমোতে চায়, ঠিক ততো বেশী রক্তাক্ত, চমৎকার সব
শিশুর মুখ চোখে আসে, ভাসে দুঃস্বপ্নের ভিতর!
চাঁদের মতন সব শিশুরা রক্তাক্ত পড়ে আছে
গাজার রাস্তায়।
না, এইসব কোন গাঁজাখুরি গল্প না,
সবচেয়ে দুঃসহ তৈলচিত্রে ছেয়ে গেছে নগরীর সব রাস্তাগুলো এবং
পৃথিবীর সব দুঃখের গল্পকে ম্লান ক'রে দিয়ে
নিকষ কালো এক নেকাবে ঢেকে গেছে একটি শোকের শহর!
২।
ক্লান্ত মন আর বিবেকের অবসাদ,
পথে পথে ফুল আর পাতাদের উল্লাস,
একটুখানি সদ্য কাটা ঘাসের, মন কেমন করা গন্ধ,
আবার রক্তাক্ত শিশুর মুখ ভাসে, সব কিছু উধাও ক'রে!
ফিরতি পথে, যানজট, বাতাসে উড়ে উড়ে চুলের জট,
মনে মনে চিন্তার জট,
ক্লান্তি ক্লান্তি, হঠাৎ পশ্চিম দিকে গোলাকার এক চাঁদ,
প্যালেস্টাইনের অপূর্ব, অসহায় শিশুর মুখ মনে পড়ে!
গাজাও একদিন জ্বলে উঠবে ][ সাইফ বরকতুল্লাহ
দানবগুলো গাজায় পিষছে মানুষ
বিধ্বংসী সহস্র মিশাইল
শিশুর মস্তকের চূড়ায় বিঁধে যাচ্ছে
অতঃপর আমরা চেয়ে দেখি
জমাটবদ্ধ খন্ডিত হৃদয়।
কী দু:সহ ক্ষয়িঞ্চু জীবন
চারপাশ কেবল শকুনের চিৎকার
বাতাসের পর্দা ছিড়ে ভেসে যায়
ইসরেয়েলের উদভ্রান্ত আগুন
আর লাশ লাশ লাশ।
হে পৃথিবী তুমি কী গন্ধ পাও লাশের ?
গাজায় কান পাতো। শোনো মৃত্যু সংকেত।
আর উৎসবমুখর পৃথিবীকে বলি
থামাও মৃত্যুর ঘণ্টা
দ্রোহের আগুনে গাজাও একদিন
জ্বলে উঠবে অজয় দেয়াল হয়ে।
একাত্তর এবার গাজায় ][ রশিদ আহমেদ তালুকদারযা দেখার দেখা হয়েছে
চেনা পৃথিবীর একপেশে নির্লজ্জ
দংশনে বিপন্ন আমার পাজর
গাজা আর রামাল্লায়,
পশ্চিম তীরের ফিনকি দিয়ে
বেড়িয়ে আসা হাজার শিশু আর
মানুষের রক্তে আমার দৃষ্টি ঝাপসা
মানুষের রক্তে আমার দৃষ্টি ঝাপসা
যা করার করবো স্বয়ং আমি একাই
আমার কোচ
আমার টোটা
আমার রামদা
চাতালের চাকু কাচি কিরিচ বল্লম
আমার যা আছে নাও তৈরী হও
বেজন্মা নেতানিয়াহু আর তার
সাধের নাগর অবামার
টুটি দিয়ে
রক্ত না ছুটিয়ে ফিরবো না।
আমার সন্তানের মত শিশুটি
আমার ভাইয়ের মত বিপন্ন লোকেরা
আমার মা - বোনের মত
আরবের অসহায় নারীগ্ণ
তোমাদের উপরএই বিভৎসতা
এই নারকীয় পৌশাচিক হত্যাযজ্ঞে
আমরা মোটেই ভালো নেই
ভালো নেই
তৃষিত পদ্মা মেঘনা যমুনা ব্রহ্মপুত্র
আড়িয়াল খা সবুজ বাংলা
আমাদের টোটা বল্লমের খোচায়
তোমাদের বিভৎসতার সমুচিত জবাব দিতেই পঙ্গপালের বাঙাল
আসছি
ওবামার আইনেই করবো
ঘাতক নেতানিয়াহুর উন্মুখ বিচার।
সবুজ যখন অবুঝ হয়
তাকে কে পারে রুখতে?
না একাত্তর না দু -হাজার চৌদ্দ
সময় যাই হোক
ইয়াহিয়া আর নেতানিয়াহু
সব শয়তানের একই সুর
যা হবার হবে
সম্মিলিত যোদ্ধা বাঙালি
আজ আমরা যাবোই যাবো
না আজ কেউ ফেরাতে পারবেনা
না কেউ দাবায়ে রাখতে এসোনা
পারবে না দাবাতে
জাগো বাঙালির জয় বাংলা শ্লোগানে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে
প্রোজ্জ্বলিত বুকের দাও দাও প্রতিবাদী আগুনে
খুলিহারা শত সহস্র
শিশু আর মানব হত্যার বদলা নিতেই এবার যাবো সবাই
যাবো, যেতে আমাদের হবেই
মিরপুরের বদ্ধভূমির মত
খুনির খেলায় তছনছ হচ্ছে
গাজা, পশ্চিম তীর, ফিলিস্তিন
এবার আমায় কেউ রুখতে পারবে না।
দ্রোহ আর বুক চাতালের আগুন
নেতানিয়াহু কে এবার পোড়াবেই।
--------
ধোঁয়ায় ছেয়েছে গাজার আকাশ
গানেরগান কথা: তপন বাগচী, কণ্ঠ ও সুর: শিল্পী ফকির আলমগীর
বোমা-বন্দুক-গুলি
বিশ্বমোড়ল চুপ করে আছে
দুচোখে দিয়েছে ঠুলি॥
ইসরাইলের বোমার আঘাতে
জ্বলছে ফিলিস্তিন
নিরীহ মানুষ কোথায় পালাবে-
ভয়াবহ রাতদিন।
মানুষ মরছে, ভরছে কেবলি
যুদ্ধবাজের ঝুলি।
আমরা মানুষ প্রতিবাদ করিথ-
ঘৃণ্য এ হামলার
চাই না কোথাও এক ফোঁটা খুন
কখনো ঝরুক আর!
চাই না উড়ুক মায়ের কিংবা
শিশুর মাথার খুলি।
.................
ছড়াগুচ্ছ
ছড়াগুচ্ছ
রাজনীতিবিদ ][ সেজান মাহমুদ
তখন তিনি ব্যস্ত নোবেল পদক ঘষা-মাজায়।
লাশের বহর বাড়ছে যখন বাড়ছে লাশের স্তূপ
ছবি তোলেন দেঁতো হেসে বাদবাকি নিশ্চুপ!
হাজার জনে ব্রাশ ফায়ারে হারাচ্ছে প্রাণ ভোমরা
তখন তিনি প্রস্তুতি নেন করতে পালন ওমরা!
রক্তে যখন হচ্ছে ভরাট আল-আওজা নদী
তখন তিনি স্বপ্ন দেখেন করতে দখল গদী!
সাহস ভরা কলম যখন লিখছে কথা ন্যায্য
ধর্ম দিয়ে দাবি তোলেন করতে তাকে ত্যায্য!
বৃষ্টি হলে আম্রিকা বা রুশ দেশে বা চীনে
ঢাকায় বসে ছাতা ধরেন নিজের টাকায় কিনে।
পুকুর চুরি করেন না আর, করেন সাগর চুরি
সময় মতো ডিগবাজিতেও নেই তাহাদের জুড়ি!
ইফতারি বা কুলখানি হোক, সবখানেতেই হাজির
ফিতা ধরে দাঁড়িয়ে থাকে শতেক উজির নাজির।
সকল অঙ্গ খাটান তিনি, খাটান না তাঁর মাথা
এই না হলে রাজনীতিবিদ? মগজ যে তাঁর যা-তা !!
গাঁজাখুরি নয়/সুমী সিকানদার
গুলি গাঁথা শরীর আমার রক্তে ঢাকা গা
আর কতক্ষণ লুকিয়ে আমায় রাখবে বলো মা।
বন্ধুরা সব খেলছিলো তাই রাস্তা ভরা ধূল
মূহুর্তে সব নিথরদেহ রক্তে আঠা চুল।
আমায় মাগো একলা কেন লুকিয়ে রাখো আজ
জানের বদল জান কামানোই সব ছেলেদের কাজ।
গাজাখুরি গল্পো তো নয় গাজার শিশুর দল
ইস্রায়েলী নরপশুদের পিষবো যাতাকল।
মুসলমানের মুখোশ পরা তোরা বেজন্মা
আমার গাজা আমার গাজা তোদের দেবো না
কয়টা শিশু মারবি তোরা ফের জন্মালাম
বিশ্ব থেকে উপড়ে নেবো ইসরায়েলের নাম।
গাজার জন্যে শোকগাঁথা] [মাহবুবা ফারুক
মোড়লগিরি যাবে কবে এই পৃথিবী জুড়ে?
মানবতা চুপ প্রকৃতি চুপ ধ্বংসই ওঠে গর্জে।
মানবতা চুপ প্রকৃতি চুপ ধ্বংসই ওঠে গর্জে।
শিশুর হাসি মায়ের কান্না পরিণত বর্জ্যে?
হাসুক গাজা। বাঁচুক মানুষ মানুষের মত,
হাসুক গাজা। বাঁচুক মানুষ মানুষের মত,
জাগো মানবতা দূর হোক সমস্যার ক্ষত।
======================
‘দয়া করে এবার থামাও! আর নয়! দয়া করে থামাও! ভাই ও বোনেরা, আর যুদ্ধ নয়! আমি গাজার শিশুদের নিয়ে বিচলিত, একটি সুন্দর ভবিষ্যত জীবন হতে বঞ্ছিত হবে।… দয়া করে বন্ধ কর! আমি আমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে বলছি।
- পোপ ফ্রান্সি্স
[লিঙ্কটা দেখুনঃ http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/the-pope/10993835/Pope-makes-emotional-plea-against-war-Please-stop-I-ask-you-with-all-my-heart.html]
-------------------------
গাজার চলমান সংকট দূর করে শান্তি প্রাত্যাশায় মৃত ও আহত শিশুদের প্রতি শোক প্রকাশ করে সেইন্ট পিটার স্কয়ারে সাপ্তাহিক প্রার্থণা সভায় ভাষন দেন পোপ ফ্রান্সিস। এদিকে ঈদ উপলক্ষে হামাস সাময়িক যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিলেও ইসরাইল নাকচ করে দিয়েছে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন