এরা মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ
ও জাতীকে অবমাননা করেছে
এদের চিনে রাখুন
![]() |
মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান |
![]() |
আবুল কাসেম তালুকদার |
![]() |
ড. খোন্দকার শওকত হোসেন |
সরকার গতকাল ২১ জুলাই ২০১৪, আরো ৩৫ কর্মকর্তার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করেছে।এদের মধ্যে ৬ জন সচিব রয়েছেন। তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান ( বর্তমান বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান), স্বাস্থ্য সচিব নিয়াজউদ্দিন মিঞা এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন। এরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেখিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ ও জাতীকে অবমাননা করেছে। নিয়েছে পদোন্নতিসহ নানান বাড়তি সুযোগ-সুবিধা। তাই তারা প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত।
----------------
সমুদ্রে সাড়ে ১৯ হাজার বর্গ কিমি পেল বাংলাদেশ
সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি হলো। বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকার অধিকারী হলো বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত স্থায়ী সালিশ আদালত (পিসিএ) ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্রসীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং এর বাইরে মহীসোপান অঞ্চলে বাংলাদেশ নিরঙ্কুশ ও সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত করলো। সোমবার স্থায়ী সালিশ আদালত ১৮১ পৃষ্ঠা এই রায় প্রদান করে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে রায় প্রকাশ করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ঢাকায় জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে রায় প্রকাশ করেন। এ সময়ে সমুদ্রসীমা মামলায় বাংলাদেশের পক্ষে এজেন্ট সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মণি এমপি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল, সচিব (মেরিটাইম ইউনিট) ও ডেপুটি এজেন্ট রিয়ার এডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সালিশ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়। ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে মামলার নিষ্পত্তি হয়। তখন বিরোধপূর্ণ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকার মধ্যে ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটারের অধিকারী হয় বাংলাদেশ। আর ভারতের সঙ্গেও অনুরূপ রায় আসে।
ট্রাইব্যুনাল ও সালিশ আদালত বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থাপিত তথ্য, তত্ত্ব, দলিল ছাড়াও ন্যায্যতা ও সমতাভিত্তিক নীতির আলোকে রায় দেয়। পাশাপাশি মিয়ানমার ও ভারত উভয়েই সমদূরত্বের ভিত্তিতে বিরোধ নিষ্পত্তির পক্ষে যুক্তি দেখায়। যা আদালত প্রত্যাখ্যান করে।
ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ফলে এখন থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপানে বাংলাদেশের অবাধ প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত হবে। গভীর সমুদ্রে মত্স্য আহরণ ও সমুদ্রের তলদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে-বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হল।
ভারতের সঙ্গে মামলার রায়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সকল ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের উপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে আদালত বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশকে প্রদান করেছে।
বিলীন দক্ষিণ তালপট্টি ভারতের
১৯৭০-এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের পর সৃষ্ট বংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্রসীমায় অবস্থিত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ ১৯৮৫ সালের উড়িরচর ঘূর্ণিঝড়ের পরই সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়। অস্তিত্ব না থাকলেও বহুল আলোচিত তালপট্টি দ্বীপ এলাকাটি এই রায়ের ফলে ভারতের মধ্যে পড়েছে। ১৯৮০ সালের পর প্রণীত প্রতিটি মানচিত্রে তালপট্টিকে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে রাখা হয়নি। ১৯৪৭ সালে রেডক্লিড প্রণীত সীমানা মানচিত্রেও এই দ্বীপটি বাংলাদেশের মধ্যে ছিল না।
অধিকাংশ গ্যাস ব্লক বাংলাদেশের
বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ২৮টি গ্যাস ব্লকের মধ্যে অধিকাংশই এখন বাংলাদেশের। ২০১২ সালের রায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ১৭টি ব্লকের মধ্যে ১১টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর ভারতের দাবিকৃত ১০টি ব্লকের সবগুলোই বাংলাদেশ পেয়েছে। আর একটি ব্লক আগে থেকেই বাংলাদেশের ছিল।
* দৈনিক ইত্তেফাকের সৌজন্যে
পানিতে নিমজ্জিত পানি
উন্নয়ন বোর্ড!
--------------
রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলায়
মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনকে
মৃত্যুদণ্ড
নববর্ষের প্রথম প্রহরে রমনা বটমূলে
ছায়ানটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলার হত্যা মামলায় ১৩ বছর পর হরকাতুল
জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে
আদালত। অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে
আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। হত্যা ও হত্যার ষড়যন্ত্রের
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ দণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের
মধ্যে ৫ আসামি পলাতক রয়েছেন।
রায়ে বলা হয়, এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি
করাসহ দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কলুষিত তথা সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ করার জন্যই এ
বোমা হামলা চালানো হয়েছিলো।
রমনা বটমূলে ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল
পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত
হন। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আদালত অভিযুক্ত আসামি মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সী
ওরফে আবুল কালাম ওরফে আবদুল মান্নান, মাওলানা আকবর হোসাইন ওরফে
হেলাল উদ্দিন, মুফতি আঃ হাই, হাফেজ
জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম
হাওলাদার ও মুফতি শফিকুর রহমানকে দণ্ডবিধির ৩০২/১২০বি ধারায় এবং অভিযুক্ত আসামি
মাওলানা তাজউদ্দিন ও আরিফ হাসান সুমনকে একই আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া
হয়। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও
দণ্ডিত করা হয়। আসামিদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়।
মধ্যে ৫ জন পলাতক রয়েছেন। এরা হলেন, বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই তাজউদ্দিন,
জাহাঙ্গীর, আবু বকর, শফিকুর
ও আবদুল হাই। মুফতি হান্নানসহ অপর দণ্ডপ্রাপ্তরা কারাগারে আছেন।
-----------------------
স্বামীর জন্য কাঁদেন নি, কেঁদেছেন বাড়ির
জন্য
আজকের ঢাকা। আশি দশকে বাংলাদেশ বেতারে একটি নতুন
ধারার অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিলো। যার গ্রন্থনা আর উপস্থাপনা করতেন কৌশিক
আহমেদ। তিনি এখন নিউ ইয়র্কে সাপ্তাহিক বাঙালি পত্রিকার সম্পাদক! এই পুরনো বন্ধুটির
সাথে ২০০৯এ জ্যাকসন হাইটে আমাদের সময়ের নানান স্মৃতিচারণ আর আড্ডা হচ্ছিলো। আড্ডার
ফাঁকে কৌশিক আমার কিছু ছবি তুল্লেন।
তখন ঢাকা ক্যান্টনম্যাণ্টের ৬ মইনুল
রোডের বাড়ির থেকে খালেদা জিয়াকে ‘উচ্ছেদ’ করা হয়। তা ছিলো সেই সময়ের আলোচিত প্রধান
খবর। তা নিয়ে কৌশিক তাঁর সাপ্তাহিক বাঙালিতেও শীর্ষ সংবাদ করেছেন, ছেপেছেন বাড়ির
জন্য খালেদা জিয়ার কান্নাকাটির ছবি। সেই সাথে কৌশিক তুলে ধরেছেন নিজের দেখা এক
বিরল ঐতিহাসিক অজানা তথ্য।
আর সেই তথ্যটি হচ্ছে, জিয়াউর রহমানের
মৃত্যুর পর চাটগাঁ থেকে লাশ আনার সময় ঢাকায় বিটিভি এবং রেডিও থেকে দীর্ঘ ধারা
বিবরণী দেয়া হয়। রেডিও থেকে ২ জন ভাষ্যকারের একজন ছিলেন কৌশিক। তাঁকে আর্মির জীপে
করে ক্যান্টনম্যাণ্টের ৬ মইনুল রোডের বাড়িতে নেয়া হলো। সেখানে জিয়ার লাশ যাবে।
লাশ নেয়া হলো। রাখা হলো বারান্দায়।
তখন কাঠের একটি চেয়ারে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসে বেগম জিয়া বিষণ্ণ হয়ে মুখে হাত
দিয়ে চুপচাপ বসে রইলেন। সেদিন কৌশিক দু’টি কারণে অবাক হয়েছিলেন। প্রথমতঃ খালেদা
জিয়া ‘লাশ’টি দেখতে চান নি। দ্বিতীয়তঃ খালেদা জিয়া চোখে সেদিন এক ফোঁটা অশ্রু
ঝরেনি!
তাই কৌশিক বললেন, স্বামী হারানো
বেদনায় তিনি কাঁদেন নি। অথচ আজ একটি বাড়ির হারানো বেদনায় হো হো করে কাঁদলেন? সংসদ
এলাকার চন্দিমা উদ্যান থেকে জিয়ার কবর/মাজার সরানোর জন্য সরকার জিয়ার কবর সরানোর
চিন্তা-ভাবনা করছে। তাতে খালেদা জিয়া যতটা না স্বামীর জন্য মায়া করবেন, তার চেয়ে
বেশি- আন্দোলন করবেন বিএনপিকে চাঙ্গা করার জন্য।
------------------
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার
ফটোসাংবাদিক হাজী জহির চিরদিনের জন্য চলে গেলেন
প্রখ্যাত ফটো সাংবাদিক হাজী জহিরুল হক চিরদিনের জন্য চলে গেলেন। শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ভারতের নয়া দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে জন্ডিসে ভুগছিলেন। দিল্লি পাঠানোর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৫ জুন জহিরুল হককে দিল্লির ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলুরিয়াল সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১২ জুন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
জহিরুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার ছিলেন।
পাকিস্তান আমলে তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক আজাদ পত্রিকায় কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলার
বাণী, জনকণ্ঠ ও বাংলাদেশ টাইমস ও কলকাতার 'দৈনিক আজকাল' পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও
দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ কর্তৃক
নির্যাতিত হন।
এছাড়াও তিনি ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। জহিরুল হক বাংলাদেশ ফেডারেল
সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
কলকাতায় নূর হোসেনকে গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫৫ মিনিটে কলকাতার নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী বাগুইহাটির একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় এন্টি টেরোরিস্ট বাহিনী। এ সময় তার কাছে একটি রিভলবর ও কয়েক রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কলকাতা শহরে
যাওয়ার পথে ঠিক এক কিলোমিটার দূরে ভিআইপি রোডের ওপর ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসন। তিনটি
ফেজে বেশ কয়েকটি বাড়ি নিয়ে এই আবাসন কমপ্লেক্সটি। তারই এ-ব্লকের ১১১ নম্বর বাড়ির
চারতলার ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে চিকিৎসার নাম করে অবাঙালি অজয় সিং এবং মিনা সিংএর বাড়ি
মাসে ১১ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিল তারা। নূর হোসেন ভারতীয় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে
নিজের নাম পরিবর্তন করেছিলেন। কলকাতায় নিজেকে ‘বাপি সাহা’ বলে পরিচয় দিতেন তিনি। বিমানবন্দরের অদূরে কৈখালিতে ভিআইপি রোডে স্পাইস
গার্ডেন নামের এক বারে মদ্যপানের সময় ধরা খান নূর। কলকাতা থেকে এক মন্ত্রী পুত্র ও
প্রভাবশালী এমপি’র সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন নুর হোসেন!
--------------
শিশু পর্নোগ্রাফি: শিশু সাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া গ্রেপ্তার!
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ঢাকায় জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে রায় প্রকাশ করেন। এ সময়ে সমুদ্রসীমা মামলায় বাংলাদেশের পক্ষে এজেন্ট সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মণি এমপি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল, সচিব (মেরিটাইম ইউনিট) ও ডেপুটি এজেন্ট রিয়ার এডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সালিশ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়। ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে মামলার নিষ্পত্তি হয়। তখন বিরোধপূর্ণ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকার মধ্যে ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটারের অধিকারী হয় বাংলাদেশ। আর ভারতের সঙ্গেও অনুরূপ রায় আসে।
ট্রাইব্যুনাল ও সালিশ আদালত বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থাপিত তথ্য, তত্ত্ব, দলিল ছাড়াও ন্যায্যতা ও সমতাভিত্তিক নীতির আলোকে রায় দেয়। পাশাপাশি মিয়ানমার ও ভারত উভয়েই সমদূরত্বের ভিত্তিতে বিরোধ নিষ্পত্তির পক্ষে যুক্তি দেখায়। যা আদালত প্রত্যাখ্যান করে।
ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ফলে এখন থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপানে বাংলাদেশের অবাধ প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত হবে। গভীর সমুদ্রে মত্স্য আহরণ ও সমুদ্রের তলদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে-বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হল।
ভারতের সঙ্গে মামলার রায়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সকল ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের উপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে আদালত বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশকে প্রদান করেছে।
বিলীন দক্ষিণ তালপট্টি ভারতের
১৯৭০-এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের পর সৃষ্ট বংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্রসীমায় অবস্থিত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ ১৯৮৫ সালের উড়িরচর ঘূর্ণিঝড়ের পরই সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়। অস্তিত্ব না থাকলেও বহুল আলোচিত তালপট্টি দ্বীপ এলাকাটি এই রায়ের ফলে ভারতের মধ্যে পড়েছে। ১৯৮০ সালের পর প্রণীত প্রতিটি মানচিত্রে তালপট্টিকে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে রাখা হয়নি। ১৯৪৭ সালে রেডক্লিড প্রণীত সীমানা মানচিত্রেও এই দ্বীপটি বাংলাদেশের মধ্যে ছিল না।
অধিকাংশ গ্যাস ব্লক বাংলাদেশের
বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ২৮টি গ্যাস ব্লকের মধ্যে অধিকাংশই এখন বাংলাদেশের। ২০১২ সালের রায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ১৭টি ব্লকের মধ্যে ১১টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর ভারতের দাবিকৃত ১০টি ব্লকের সবগুলোই বাংলাদেশ পেয়েছে। আর একটি ব্লক আগে থেকেই বাংলাদেশের ছিল।
* দৈনিক ইত্তেফাকের সৌজন্যে
পানিতে নিমজ্জিত পানি
উন্নয়ন বোর্ড!
--------------
রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলায়
মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনকে
মৃত্যুদণ্ড

রায়ে বলা হয়, এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি
করাসহ দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কলুষিত তথা সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ করার জন্যই এ
বোমা হামলা চালানো হয়েছিলো।
রমনা বটমূলে ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল
পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত
হন। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আদালত অভিযুক্ত আসামি মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সী
ওরফে আবুল কালাম ওরফে আবদুল মান্নান, মাওলানা আকবর হোসাইন ওরফে
হেলাল উদ্দিন, মুফতি আঃ হাই, হাফেজ
জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম
হাওলাদার ও মুফতি শফিকুর রহমানকে দণ্ডবিধির ৩০২/১২০বি ধারায় এবং অভিযুক্ত আসামি
মাওলানা তাজউদ্দিন ও আরিফ হাসান সুমনকে একই আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া
হয়। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও
দণ্ডিত করা হয়। আসামিদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়।
মধ্যে ৫ জন পলাতক রয়েছেন। এরা হলেন, বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই তাজউদ্দিন,
জাহাঙ্গীর, আবু বকর, শফিকুর
ও আবদুল হাই। মুফতি হান্নানসহ অপর দণ্ডপ্রাপ্তরা কারাগারে আছেন।
-----------------------
স্বামীর জন্য কাঁদেন নি, কেঁদেছেন বাড়ির
জন্য
আজকের ঢাকা। আশি দশকে বাংলাদেশ বেতারে একটি নতুন
ধারার অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিলো। যার গ্রন্থনা আর উপস্থাপনা করতেন কৌশিক
আহমেদ। তিনি এখন নিউ ইয়র্কে সাপ্তাহিক বাঙালি পত্রিকার সম্পাদক! এই পুরনো বন্ধুটির
সাথে ২০০৯এ জ্যাকসন হাইটে আমাদের সময়ের নানান স্মৃতিচারণ আর আড্ডা হচ্ছিলো। আড্ডার
ফাঁকে কৌশিক আমার কিছু ছবি তুল্লেন।
তখন ঢাকা ক্যান্টনম্যাণ্টের ৬ মইনুল
রোডের বাড়ির থেকে খালেদা জিয়াকে ‘উচ্ছেদ’ করা হয়। তা ছিলো সেই সময়ের আলোচিত প্রধান
খবর। তা নিয়ে কৌশিক তাঁর সাপ্তাহিক বাঙালিতেও শীর্ষ সংবাদ করেছেন, ছেপেছেন বাড়ির
জন্য খালেদা জিয়ার কান্নাকাটির ছবি। সেই সাথে কৌশিক তুলে ধরেছেন নিজের দেখা এক
বিরল ঐতিহাসিক অজানা তথ্য।
আর সেই তথ্যটি হচ্ছে, জিয়াউর রহমানের
মৃত্যুর পর চাটগাঁ থেকে লাশ আনার সময় ঢাকায় বিটিভি এবং রেডিও থেকে দীর্ঘ ধারা
বিবরণী দেয়া হয়। রেডিও থেকে ২ জন ভাষ্যকারের একজন ছিলেন কৌশিক। তাঁকে আর্মির জীপে
করে ক্যান্টনম্যাণ্টের ৬ মইনুল রোডের বাড়িতে নেয়া হলো। সেখানে জিয়ার লাশ যাবে।
লাশ নেয়া হলো। রাখা হলো বারান্দায়।
তখন কাঠের একটি চেয়ারে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসে বেগম জিয়া বিষণ্ণ হয়ে মুখে হাত
দিয়ে চুপচাপ বসে রইলেন। সেদিন কৌশিক দু’টি কারণে অবাক হয়েছিলেন। প্রথমতঃ খালেদা
জিয়া ‘লাশ’টি দেখতে চান নি। দ্বিতীয়তঃ খালেদা জিয়া চোখে সেদিন এক ফোঁটা অশ্রু
ঝরেনি!
তাই কৌশিক বললেন, স্বামী হারানো
বেদনায় তিনি কাঁদেন নি। অথচ আজ একটি বাড়ির হারানো বেদনায় হো হো করে কাঁদলেন? সংসদ
এলাকার চন্দিমা উদ্যান থেকে জিয়ার কবর/মাজার সরানোর জন্য সরকার জিয়ার কবর সরানোর
চিন্তা-ভাবনা করছে। তাতে খালেদা জিয়া যতটা না স্বামীর জন্য মায়া করবেন, তার চেয়ে
বেশি- আন্দোলন করবেন বিএনপিকে চাঙ্গা করার জন্য।
------------------
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার
ফটোসাংবাদিক হাজী জহির চিরদিনের জন্য চলে গেলেন
প্রখ্যাত ফটো সাংবাদিক হাজী জহিরুল হক চিরদিনের জন্য চলে গেলেন। শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ভারতের নয়া দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

জহিরুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার ছিলেন।
পাকিস্তান আমলে তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক আজাদ পত্রিকায় কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলার
বাণী, জনকণ্ঠ ও বাংলাদেশ টাইমস ও কলকাতার 'দৈনিক আজকাল' পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও
দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ কর্তৃক
নির্যাতিত হন।
এছাড়াও তিনি ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। জহিরুল হক বাংলাদেশ ফেডারেল
সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
কলকাতায় নূর হোসেনকে গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫৫ মিনিটে কলকাতার নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী বাগুইহাটির একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় এন্টি টেরোরিস্ট বাহিনী। এ সময় তার কাছে একটি রিভলবর ও কয়েক রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কলকাতা শহরে
যাওয়ার পথে ঠিক এক কিলোমিটার দূরে ভিআইপি রোডের ওপর ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসন। তিনটি
ফেজে বেশ কয়েকটি বাড়ি নিয়ে এই আবাসন কমপ্লেক্সটি। তারই এ-ব্লকের ১১১ নম্বর বাড়ির
চারতলার ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে চিকিৎসার নাম করে অবাঙালি অজয় সিং এবং মিনা সিংএর বাড়ি
মাসে ১১ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিল তারা। নূর হোসেন ভারতীয় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে
নিজের নাম পরিবর্তন করেছিলেন। কলকাতায় নিজেকে ‘বাপি সাহা’ বলে পরিচয় দিতেন তিনি। বিমানবন্দরের অদূরে কৈখালিতে ভিআইপি রোডে স্পাইস
গার্ডেন নামের এক বারে মদ্যপানের সময় ধরা খান নূর। কলকাতা থেকে এক মন্ত্রী পুত্র ও
প্রভাবশালী এমপি’র সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন নুর হোসেন!
--------------
শিশু পর্নোগ্রাফি: শিশু সাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া গ্রেপ্তার!
আরো জড়িত ফারুক নওয়াজ-জুলফিকার শাহাদাৎসহ ১১ জন
আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফির সঙ্গে
জড়িত সন্দেহে শিশু সাহিত্যিক টিপু কিবরিয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টিপু ২০০৫ সালে
বাংলাদেশের শিশু পর্নোগ্রাফি বিদেশে পাচার হয় বলে ইন্টারপোলের কাছে অভিযোগ যায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে
অভিযোগটির বিষয়ে নজরদারি করে টিপুর চেহারা শনাক্ত করে। ২০১৪ সালে ইন্টারপোল
নিশ্চিত হয়, এটি টিপু কিবরিয়া। এ ছাড়াও আরো জড়িত ফারুক
নওয়াজ-জুলফিকার শাহাদাৎসহ ১১ জন বলে হবে খবরে প্রকাশ।
পুলিশ জানায় মুগদায় একটি স্টুডিওতে
দীর্ঘদিন ধরে শিশু পর্নোগ্রাফির কাজ করতেন টিপু কিবরিয়া। গত এক সপ্তাহ আগে
ইন্টারপোল বিষয়টি সিআইডিকে জানায়। এর ভিত্তিতে সিআইডি প্রথমে খিলগাঁও থেকে টিপু কিবরিয়াকে
আটক করে। পরে তাঁকে নিয়ে তারর স্টুডিওতে গিয়ে পুলিশ নুরুল
ইসলাম ও শাহারুল নামের অপর দুই সহযোগিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের দাবি, টিপু কিবরিয়া পর্ণোগ্রাফির সাথে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়ায়
এগুলো বিক্রি করা হতো। এক জার্মান ও এক সৌদি নাগরিকের সঙ্গে তার আর্থিক
লেনদেনের প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। টিপুর হয়ে তার আর্থিক লেনদেনগুলো দেখতেন শাহরুল।
শিশু সাহিত্যিক টিপু কিবরিয়ার মুল নাম
ফখরুজ্জামান। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় ‘রহস্য’ নামের একটি মাসিক প্রকাশনায় কাজ করতেন। পেশায় তিনি একজন
ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী। বাজারে তার ৫০টিরও ওপর বই রয়েছে।
………
আরেক প্রবাসী প্রতারক লেখক এখন
বিদেশি কারাগারে জেল খাটছে। তার নাম ইসমাইল হোসেন। ‘র’ নামে তার একটি গল্পগ্রন্থ
রয়েছে। সব মেহের নামে সে চলচিত্র নির্মাণ করেছিলো। সে ফুডস্ট্যাম্প প্রতারণা
সংক্রান্ত অপরাধে ক্যালিফোর্ণিয়ার একটি আদালত ৪০ মাসের জেল এবং ৬.৫ মিলিয়ন ডলার
জরিমানা কওে দন্ড দিয়েছে। লস এঞ্জেলেস টাইমস জানায়, ইসমাইল হোসেনকে কিছু
দিন আগে ফেডারেল সরকার ফুডস্ট্যাম্প ক্রাইমে (অপরাধ) আটক করে। জানা গেছে, তিনি অবৈধ ভাবে ফুডস্ট্যাম্প বিজনেসের সঙ্গে জড়িত থেকে ১৪টি কনভিনিয়ান
মার্ট, বিশাল ভবন ও ব্যাংকে অনেক অর্থ জমা করেন। যা আমেরিকান
ল’ তে বড় অপরাধ। আটকের পর ইসমাইল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত
অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করেন। কিন্তু তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে প্রসিকিউট তার
চ্যালেঞ্জকে মিথ্যা প্রমাণ করলে আদালত এ শাস্তি প্রদান করেন। একই সাজা প্রদান করা
হয়েছে স্ত্রী মায়া হোসেন কে-ও।
কবি মাহবুব হাসান ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে জানান, ইসমাইল জেলখানার সময়টা কাজে লাগাচ্ছে। লিখে চলছে একের করে এক উপন্যাস!
ভেঙে
ফেলা হলো ছবির হাট, পাঁচশো শিল্পকর্ম নষ্ট: নিন্দার ঝড়
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাট ভেঙে
ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে গণপুর্ত অধিদপ্তর ছবির হাটের স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়।
চারুশিল্পীদের অভিযোগ, গুড়িয়ে দেওয়ার সময় প্রায় পাঁচশো শিল্পকর্ম নষ্ট হয়েছে।
শাহবাগের চারুকলা অনুষদের বিপোরীত দিকে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশপথে গ্রামীণ সংস্কৃতির আবহে সৃষ্টি ছবির হাট। একটি
স্বতঃস্ফূর্ত সমন্বিত উদ্যোগে গড়ে ওঠে। যেখানে সারা বছর ধরে চলে শিল্পকর্ম, নাটক-চলচ্চিত্র, আলোকচিত্রসহ নানা প্রদর্শনী। মঙ্গলবার বিকেলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের
নেতৃত্বে ভাঙচুর চালানো হয়।
চারুশিল্পীরা অভিযোগ করেন, উচ্ছেদ অভিযান চালানোর
আগে কাউকে জানানো হয়নি। অনেকটা গোপনে তা ভাঙা হয়েছে। উচ্ছেদের সময় সেখানে রাখা
বেশির ভাগ ছবি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
ছবির হাট কেন ভাঙ্গা হয়েছে তা জানতে শাহাবাগ
থানায় গেলে, এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
২০০৩ সাল থেকে ছবির হাট নামে পরিচিত হয়েছে এ
স্থানটি। আলোকচিত্র, স্কালপচার এবং রঙে আঁকা ক্যানভাস দিয়ে সাজানো ছিলো পুরো ছবির হাট। এ ঘটনার
প্রতিবাদে বুধবার থেকে কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে জানান শিল্পীরা।
- দৈনিক কালের কন্ঠ, ১২ জুন ২০১৪, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২১
================================
‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন
সোসাইটি’তে পুরস্কৃত বাংলাদেশ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মনোনয়ন পাওয়া
প্রায় ১৫০টি প্রকল্পকে পেছনে ফেলে আইসিটি সেক্টরের সবচেয়ে সম্মানজনক ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি’ (ডাব্লিউএসআইএস)
পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশ। এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) ‘সার্ভিস
অ্যাট সিটিজেন ডোরস্টেপস’ নামের প্রজেক্টটি এবার বর্ষসেরা
হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল
৫টায় এ পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পুরস্কার
প্রদান এবং সম্মেলন নিয়ে ৩ দিনব্যাপী আয়োজন শেষ হবে ১৩ জুন।
এদিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়
ডাব্লিউএসআইএস পুরস্কার গ্রহণ করতে যাওয়ার আগে সোমবার মধ্যরাতে প্রতিমন্ত্রী পলক
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আজ জেনেভায় আইটিইউ সম্মেলন
থেকে একটি সুখবর দিতে পারব বলে আশা করছি, সবার দোয়া কামনা
করি।’ তার সঙ্গে সফরসঙ্গী রয়েছেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক কবির
বিন আনোয়ার এবং বাংলাদেশের ইউএনডিপির সহকারী পরিচালক কে এম মোরশেদ। সংশ্লিষ্ট
সূত্রে জানা গেছে, ডব্লিউএসআইএস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে চিঠি
দিয়ে এ বিজয়ী হওয়ার সংবাদ জানিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী
সমপর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করে। এটুআই এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল
ইসলামের নাম প্রস্তাব করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ
আহমেদ পলককে নির্বাচন করেন। ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির ভোট পর্ব
বাংলাদেশ থেকে এ বছর পাঁচটি প্রকল্প-উদ্যোগ ডব্লিউএসআইএস প্রকল্প পুরস্কারের জন্য
প্রাথমিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছিল। এই উদ্যোগ ৫টি জমা দিয়েছিল যথাক্রমে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), বাংলাদেশ
ইন্সটিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি), শিক্ষা
মন্ত্রণালয় ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনস। মোট ১৮টি বিভাগের মধ্যে ৬ থেকে ১১ নম্বর বিভাগে
প্রাথমিক মনোনয়ন পায় সার্ভিস অ্যাট সিটিজেনস ডোরস্টেপস, অনলাইন
মাইক্রো স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এমএসএমই) সাপোর্ট সার্ভিস, আইসিটি ফর এডুকেশন ইন সেকেন্ডারি অ্যান্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল প্রজেক্ট,
ভারচুয়াল ব্লাড ডাটা ব্যাংক, ই-কৃষক, ইনকাম জেনারেশন প্রজেক্ট ফর ফারমার্স ইউজিং আইসিটি। প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন
পাওয়া প্রকল্পগুলোকে চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত করতে ইমেইলের মাধ্যমে ভোট নেয়া হয়।
ভোট গ্রহণের শেষ সময় ছিল ১৭ এপ্রিল। প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড
সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) প্রকল্প পুরস্কার তথ্য-প্রযুক্তি
ক্ষেত্রে উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের বড় ধরনের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনার জন্য ওয়ার্ল্ড সামিট ফর
ইনফরমেশন সোসাইটি কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সৃজনশীল উদ্ভাবনগুলো
ছড়িয়ে দেয়ার কাজ কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
* দৈনিক যুগান্তর, মে ১১, ২০১৪, ঢাকা।
আজ বাঙালির মুক্তির সনদঃ ঐতিহাসিক ৬
দফা
প্রথম দফা – পাকিস্তানের সরকার হবে যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং সংসদীয়। কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভা প্রত্যক্ষ ও সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত হবে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।
দ্বিতীয় দফা – যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের হাতে থাকবে কেবলমাত্র দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয়াদি।
তৃতীয় দফা – দেশের দুটি অঞ্চলের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজেই বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। এক্ষেত্রে দুই অঞ্চলে একক মুদ্রাও থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ফেডারেল ব্যাংককে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চতুর্থ দফা – রাজস্বসংক্রান্ত নীতি-নির্ধারণের দায়িত্ব এবং কর ধার্যের ক্ষমতা
প্রাদেশিক সরকারগুলোর থাকবে। দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় পরিচালনার জন্য আদায় করা
রাজস্বের অংশবিশেষ কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়া হবে।
পঞ্চম দফা – বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই অঞ্চলের জন্য পৃথক হিসাব রাখতে হবে।
প্রাদেশিক সরকারগুলো বিদেশের সঙ্গে বৈদেশিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্যিক
চুক্তি করতে পারবে।
ষষ্ঠ দফা – কার্যকরভাবে জাতীয় নিরাপত্তায় অংশগ্রহণের জন্য প্রদেশগুলোকে
প্যারামিলিশিয়া বা আধা-সামরিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা দেয়া হবে।
-০৭ জুন ২০১৪, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২১
২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার
বাজেট
-----------------------------
রাজনৈতিক সংঘাতে চলতি অর্থবছরে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ না হওয়ায় আগামী বছরে তা পুষিয়ে নিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার বাজেট বক্তৃতায়। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিশাল ব্যয়ভার নিয়ে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিতে উচ্চাভিলাষী বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন, অব্যাহত সংস্কারের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম জোরদার করার প্রয়াসও অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি করখাতে কিছু প্রণোদনা, কর্পোরেট কর হার কমানোসহ কিছু সুবিধার কথা বলেছেন। বলেছেন শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে সুদের হার কমানোর কথা। সরকারিভাবে ভৌত অবকাঠামোখাতে অর্থায়নের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। যাতে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের পরিবেশ ও অবকাঠামো সুবিধাদি পায়। চলমান সংস্কার অব্যাহত রাখারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। এসব 'ভাল' কাজ করতে গিয়ে সার্বিকভাবে ব্যয়ভার বাড়িয়ে তুলেছেন। ফলে, চ্যালেঞ্জিং টার্গেট বাস্তবায়নের দায় তার কাঁধে রয়েই গেল।
অর্থমন্ত্রী আগামী বছরের জন্য মোট ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য স্থির করেছেন। এই ব্যয় করতে গিয়ে আয়ের লক্ষ্যও তাকে বাড়াতে হয়েছে। আয়ের লক্ষ্য স্থির করেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। অবকাঠামো যেমন বিদ্যুত্-জ্বালানি, ভৌত অবকাঠামো প্রভৃতি খাতে ব্যয়ও বেড়েছে। অগ্রাধিকার হিসাবে পদ্মা সেতু খাতে ৮ হাজার ১শ' কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির তীব্র আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। ব্যবসা-ব্যয় হরাসের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি ব্যক্তিখাতে ঋণপ্রবাহ বাড়িয়ে সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, রফতানি বাড়াতে কিছু খাতে অতিরিক্ত প্রণোদনার কথা বলেছেন। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন, সামাজিক সুরক্ষা খাতে বিদ্যমান সুবিধাদি আগামীতেও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
এসব সুবিধাদি নিশ্চিত করতে রাজস্ব আয়ের চাপ বাড়িয়েছেন তিনি। বেশকিছু খাতে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আরোপ, উেস করারোপ করা হয়েছে। কিছু খাতে প্যাকেজ ভ্যাট সুবিধা চালু থাকলেও আগামী বছর থেকে প্রমাণ হারে অর্থাত্ ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন তিনি। পাশাপাশি পরোক্ষ করনির্ভরতাও বাড়িয়েছেন। ফলে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের চাপ সাধারণ জনগণের ওপর যথারীতি থাকছেই। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের অব্যাহত চাপের মুখে সংরক্ষণবাদী নীতি থেকে সরে আসার প্রক্রিয়ায় ঢালাওভাবে ৭৭০টি পণ্যের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্কহারে পরিবর্তন করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক হার কমিয়ে ফেলায় দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতাসক্ষমতা অর্জন জরুরি হয়ে দাঁড়াবে।
- দৈনিক ইত্তেফাক,
০৬ জুন ২০১৪, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২১

পুলিশ জানায় মুগদায় একটি স্টুডিওতে
দীর্ঘদিন ধরে শিশু পর্নোগ্রাফির কাজ করতেন টিপু কিবরিয়া। গত এক সপ্তাহ আগে
ইন্টারপোল বিষয়টি সিআইডিকে জানায়। এর ভিত্তিতে সিআইডি প্রথমে খিলগাঁও থেকে টিপু কিবরিয়াকে
আটক করে। পরে তাঁকে নিয়ে তারর স্টুডিওতে গিয়ে পুলিশ নুরুল
ইসলাম ও শাহারুল নামের অপর দুই সহযোগিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের দাবি, টিপু কিবরিয়া পর্ণোগ্রাফির সাথে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়ায় এগুলো বিক্রি করা হতো। এক জার্মান ও এক সৌদি নাগরিকের সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেনের প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। টিপুর হয়ে তার আর্থিক লেনদেনগুলো দেখতেন শাহরুল।
শিশু সাহিত্যিক টিপু কিবরিয়ার মুল নাম
ফখরুজ্জামান। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় ‘রহস্য’ নামের একটি মাসিক প্রকাশনায় কাজ করতেন। পেশায় তিনি একজন
ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী। বাজারে তার ৫০টিরও ওপর বই রয়েছে।
………

কবি মাহবুব হাসান ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে জানান, ইসমাইল জেলখানার সময়টা কাজে লাগাচ্ছে। লিখে চলছে একের করে এক উপন্যাস!
ভেঙে
ফেলা হলো ছবির হাট, পাঁচশো শিল্পকর্ম নষ্ট: নিন্দার ঝড়
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাট ভেঙে
ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে গণপুর্ত অধিদপ্তর ছবির হাটের স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়।
চারুশিল্পীদের অভিযোগ, গুড়িয়ে দেওয়ার সময় প্রায় পাঁচশো শিল্পকর্ম নষ্ট হয়েছে।
শাহবাগের চারুকলা অনুষদের বিপোরীত দিকে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশপথে গ্রামীণ সংস্কৃতির আবহে সৃষ্টি ছবির হাট। একটি
স্বতঃস্ফূর্ত সমন্বিত উদ্যোগে গড়ে ওঠে। যেখানে সারা বছর ধরে চলে শিল্পকর্ম, নাটক-চলচ্চিত্র, আলোকচিত্রসহ নানা প্রদর্শনী। মঙ্গলবার বিকেলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের
নেতৃত্বে ভাঙচুর চালানো হয়।
চারুশিল্পীরা অভিযোগ করেন, উচ্ছেদ অভিযান চালানোর
আগে কাউকে জানানো হয়নি। অনেকটা গোপনে তা ভাঙা হয়েছে। উচ্ছেদের সময় সেখানে রাখা
বেশির ভাগ ছবি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
ছবির হাট কেন ভাঙ্গা হয়েছে তা জানতে শাহাবাগ
থানায় গেলে, এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
২০০৩ সাল থেকে ছবির হাট নামে পরিচিত হয়েছে এ
স্থানটি। আলোকচিত্র, স্কালপচার এবং রঙে আঁকা ক্যানভাস দিয়ে সাজানো ছিলো পুরো ছবির হাট। এ ঘটনার
প্রতিবাদে বুধবার থেকে কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে জানান শিল্পীরা।
- দৈনিক কালের কন্ঠ, ১২ জুন ২০১৪, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২১
================================
‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন
সোসাইটি’তে পুরস্কৃত বাংলাদেশ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মনোনয়ন পাওয়া প্রায় ১৫০টি প্রকল্পকে পেছনে ফেলে আইসিটি সেক্টরের সবচেয়ে সম্মানজনক ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি’ (ডাব্লিউএসআইএস) পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশ। এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) ‘সার্ভিস অ্যাট সিটিজেন ডোরস্টেপস’ নামের প্রজেক্টটি এবার বর্ষসেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় এ পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পুরস্কার প্রদান এবং সম্মেলন নিয়ে ৩ দিনব্যাপী আয়োজন শেষ হবে ১৩ জুন।
এদিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়
ডাব্লিউএসআইএস পুরস্কার গ্রহণ করতে যাওয়ার আগে সোমবার মধ্যরাতে প্রতিমন্ত্রী পলক
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আজ জেনেভায় আইটিইউ সম্মেলন
থেকে একটি সুখবর দিতে পারব বলে আশা করছি, সবার দোয়া কামনা
করি।’ তার সঙ্গে সফরসঙ্গী রয়েছেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক কবির
বিন আনোয়ার এবং বাংলাদেশের ইউএনডিপির সহকারী পরিচালক কে এম মোরশেদ। সংশ্লিষ্ট
সূত্রে জানা গেছে, ডব্লিউএসআইএস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে চিঠি
দিয়ে এ বিজয়ী হওয়ার সংবাদ জানিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী
সমপর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করে। এটুআই এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল
ইসলামের নাম প্রস্তাব করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ
আহমেদ পলককে নির্বাচন করেন। ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির ভোট পর্ব
বাংলাদেশ থেকে এ বছর পাঁচটি প্রকল্প-উদ্যোগ ডব্লিউএসআইএস প্রকল্প পুরস্কারের জন্য
প্রাথমিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছিল। এই উদ্যোগ ৫টি জমা দিয়েছিল যথাক্রমে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), বাংলাদেশ
ইন্সটিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি), শিক্ষা
মন্ত্রণালয় ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনস। মোট ১৮টি বিভাগের মধ্যে ৬ থেকে ১১ নম্বর বিভাগে
প্রাথমিক মনোনয়ন পায় সার্ভিস অ্যাট সিটিজেনস ডোরস্টেপস, অনলাইন
মাইক্রো স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এমএসএমই) সাপোর্ট সার্ভিস, আইসিটি ফর এডুকেশন ইন সেকেন্ডারি অ্যান্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল প্রজেক্ট,
ভারচুয়াল ব্লাড ডাটা ব্যাংক, ই-কৃষক, ইনকাম জেনারেশন প্রজেক্ট ফর ফারমার্স ইউজিং আইসিটি। প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন
পাওয়া প্রকল্পগুলোকে চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত করতে ইমেইলের মাধ্যমে ভোট নেয়া হয়।
ভোট গ্রহণের শেষ সময় ছিল ১৭ এপ্রিল। প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড
সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) প্রকল্প পুরস্কার তথ্য-প্রযুক্তি
ক্ষেত্রে উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের বড় ধরনের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনার জন্য ওয়ার্ল্ড সামিট ফর
ইনফরমেশন সোসাইটি কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সৃজনশীল উদ্ভাবনগুলো
ছড়িয়ে দেয়ার কাজ কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
* দৈনিক যুগান্তর, মে ১১, ২০১৪, ঢাকা।
আজ বাঙালির মুক্তির সনদঃ ঐতিহাসিক ৬
দফা
প্রথম দফা – পাকিস্তানের সরকার হবে যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং সংসদীয়। কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভা প্রত্যক্ষ ও সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত হবে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।
দ্বিতীয় দফা – যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের হাতে থাকবে কেবলমাত্র দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয়াদি।
তৃতীয় দফা – দেশের দুটি অঞ্চলের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজেই বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। এক্ষেত্রে দুই অঞ্চলে একক মুদ্রাও থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ফেডারেল ব্যাংককে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চতুর্থ দফা – রাজস্বসংক্রান্ত নীতি-নির্ধারণের দায়িত্ব এবং কর ধার্যের ক্ষমতা
প্রাদেশিক সরকারগুলোর থাকবে। দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় পরিচালনার জন্য আদায় করা
রাজস্বের অংশবিশেষ কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়া হবে।
পঞ্চম দফা – বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই অঞ্চলের জন্য পৃথক হিসাব রাখতে হবে।
প্রাদেশিক সরকারগুলো বিদেশের সঙ্গে বৈদেশিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্যিক
চুক্তি করতে পারবে।
ষষ্ঠ দফা – কার্যকরভাবে জাতীয় নিরাপত্তায় অংশগ্রহণের জন্য প্রদেশগুলোকে
প্যারামিলিশিয়া বা আধা-সামরিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা দেয়া হবে।
-০৭ জুন ২০১৪, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২১
২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন