অটোয়ার খুন হয়েছে বাংলাদেশি ছাত্র তাওসিফ
অটোয়া পুলিশ গতকাল ২৯ নভেম্বর শহরের বিমানবন্দর পার্কওয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ফুটপাথের জলাধারের পাশে থেকে বাংলাদেশি ছাত্র তাওসিফ চৌধুরীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে। ২৩ বছর বয়স্ক তাওসিফকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে। সে কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্র। তার ফেইস বুক আইডি থেকে জানা যায়, সে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শিক্ষার্থী।
ডেইলি অটোয়া সিটিজেন জানিয়েছে, তদন্তকারী দল ট্রানজিট স্টেশন ও দক্ষিণ-কি শপিং সেন্টার থেকে ভিডিও নজরদারি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাতে কি ছিলো জানা যায়নি।
এদিকে অটোয়াস্থ বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিষ্টার রেজাউর রহমানের (rezaur7@gmail.com) সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই নির্মম হত্যাকান্ডের ব্যাপারে তার পরিবার চাইলে তিনি আইনী সহযোগিতাসহ যে কোনো সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
টরন্টোতে জমে উঠছে নানামুখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড
কানাডায় ঋতুচক্রের শীত না এলেও শীতের ঋতুক্রীড়া শুরু হয়ে গেছে। সেই সাথে জমে উঠছে নানামুখী সাংস্কৃতি কর্মকান্ড। শনিরোব বার ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই গান, কবিতা, নৃত্য, চিত্র প্রদর্শনী, চলচিত্র উৎসব, সেমিনারের আয়োজন চলছে।
* গানে ও কথায় খ্যাতিমান নজরুলসঙ্গীত শিল্পী সোহরাব হোসেন ও ফিরোজা বেগমকে স্মরণে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা কানাডার বিশেষ এই আয়োজনে মিলিত হয়েছিলেন বৃহত্তর টরন্টোর জনপ্রিয় শিল্পী ও সুধীসমাজ।
শুরুতে কথাশিল্পী সাদ কামালী চির অমর দুই শিল্পীর জীবনের বিরল কিছু ঘটনাবলীসহ দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনের বর্ণাঢ্য চিত্র তুলে ধরেন। প্রধান বক্তা অধ্যাপক বোরহানুদ্দীন খান জাহাঙ্গীর দুই শিল্পীর সংগ্রামের কথা তুলে ধরে বলেন, সংগ্রাম শুধু নজরুল সঙ্গীত নিয়ে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও লড়াই করতে হয়েছে তাদের। সুরস্রষ্টা কমল দাসগুপ্তের সঙ্গে ফিরোজা বেগমের বিয়ের প্রসঙ্গ তুলে পাক শাসকের সঙ্গে ও পরিবারের ভিতরে সঙ্কটের কথাও তিনি তুলে ধরেন।

* প্রবাসে কিংবা দেশে যেখানেই একজন সাংবাদিক অবস্থান করেন না কেন দেশ ও মাতৃকার জন্য তার রয়েছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। গত ১৭ নভেম্বর অপরাহ্নে কানাডার টরন্টোয় বসবাসরত বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক সমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক শাহীন রেজা নূর এ কথা বলেন। তিনি প্রবাসেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন ও লালন করে এগিয়ে যাবার আহবান জানান। তিনি বলেন, জাতি হিসেবে সেটাই আমাদের গৌরবপূর্ণ প্রতিভূ এবং কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। ওই মতবিনিময় সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা হচ্ছেন- সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল (দৈনিক ইত্তেফাক), জাকি উদ্দীন (দৈনিক জনকন্ঠ), সুব্রত নন্দী (দৈনিক প্রথম আলো) ও মোহাম্মদ আলী বোখারী (দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডট কম)। এ ছাড়াও তিনি টরন্টো ছাড়াও মন্ট্রিয়ল ও ভ্যানকুভারে প্রবাসীদের আয়োজিত বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
* এদিকে কয়েক জন প্রবাসী নির্মাতা কানাডায় শুরু করলো- টরন্টো ফিল্ম ফোরাম। গতকাল ২১ নভেম্বর বিকেল ৬টায় টরন্টোর ডেনফোর্থ এভিনিউস্থ বাংলাদেশ সেন্টারে টরন্টো ফিল্ম ফোরামের শুভ উদ্বোধন করা হলো। বিকল্প ধারার কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে- এনায়েত করিম বাবুলের চাক্কি, আমিনুল ইসলামের ফেসিং দ্যা ফিউচার, মনিশ রফিক ও পারভেজ সিদ্দিকীর ব্রোকেন ড়্রিম, সাইফুল ওয়াদুদ হেলা্লের বাংলাদেশের হৃদয়, হাকিল হান্নানের দ্যা মিটিং। প্রদর্শনীর শেষ দিনে প্রদর্শিত হবে তানভীর মোকাম্মেলের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জীবন ঢুলী’। উল্লেখ্য, টরন্টো ফিল্ম ফোরামের আয়োজকরা বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক এবং সাংস্কৃতিককর্মী।
* টরন্টোর আলোচিত আবৃত্তির শিল্পী শেখর গোমেজ ও রিঙ্কু গোমেজ স্বগ্রন্থিত কাব্যালেখ্য “সব আ্নন্দ মিলে তোমার সুরে” পরিবেশন করেন । তাঁদের যুগলবন্দি দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
* অপর দিকে পৃথুলা ও প্রমিতির মনমাতানো ফ্রাগমেন্টস টরন্টোর স্কারবোরো শহরের পি সি হো থিয়েটারে বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে অবস্থিত মেয়েদের আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ্বরি হোমসের কুমুদিনী কেয়ার ট্রাস্টের জন্য অনুষ্ঠিত হলো ফ্রাগমেন্টস ফান্ডরেইজিং ড্যান্স প্রোডাকশন।
টরন্টোর ড্যানফোর্ডস্থ বিসিসিএস-এ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একটি ব্যাতিক্রমী ব্যান্ড ‘একশো’ এর পরিবেশনা ‘সিনেমার গান এবং...’। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল টরন্টোর মিডিয়া ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘দাঁড়কাক প্রডাকশন’। একশো ব্যান্ড এর মুল কন্ঠশিল্পী হলেন শাহপার ঝুমা এবং রিয়াদ মাহমুদ।
* গত সপ্তাহে টরন্টোর ইয়র্ক উড থিয়েটার মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘এমনও যামিনী মধুরও চাঁদিনী’ শীর্ষক কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত সন্ধ্যা।
*মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আবৃত্তিকার প্রজ্ঞা লাবণী ও সঙ্গীতশিল্পী শহীদ খন্দকার টুকুর পরিবেশনায় এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠাটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল রেডিয়েন্স কমিউনিটি সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক। প্রচুর দর্শকের সমাগমে পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল উৎসবমুখর এবং বাঙালি কমিউনিটির পরিচিতজনদের একটি প্রাণোচ্ছল মিলনমেলা।
* উত্তর আমেরিকার অনেক শহরেই বাঙালি গুণীজনদের বসবাস গত তিন দশকে উল্লেখযোগ্য ভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে ‘এমন মজা হয়না/গায়ে সোনার গয়না’… খ্যাতআলেয়া শরাফী অন্যতম। তার উপস্থাপনা গ্র্যান্ড প্যালেস ব্যাষ্কোয়েট হলে সম্ভবত সেই দিনই প্রথম ছয়টি ভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর একই সাথে আগমন। সঙ্গীত ও নৃত্যের প্রকৃত আবেদন যা মানবিক ও সুকুমার বৃত্তিগুলোকে স্পর্শ করে- তা উপলব্ধির দুর্লভ সুযোগ সৃষ্টি করে আলেয়া শরাফী, অনুষ্ঠানে আগত ছয়টি ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষকে নিশ্চয় কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন।
* অপর দিকে- মিসিসাগার 'গ্যালারী প্রোমেনাড' হলে অনুষ্ঠিত গেলো শিল্পী সৈয়দ ইকবালের ১৬ম চিত্র প্রদর্শনী। দুই সপ্তাহের প্রদর্শনীতেস্থান পায় 'এক্রিলিক' এবং দূর্গা, রাধা-কৃষ্ণ, গৌতম বুদ্ধের ছবি।
---------------------
টরি টরন্টোর নতুন মেয়র নির্বাচিত
অটোয়া পুলিশ গতকাল ২৯ নভেম্বর শহরের বিমানবন্দর পার্কওয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ফুটপাথের জলাধারের পাশে থেকে বাংলাদেশি ছাত্র তাওসিফ চৌধুরীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে। ২৩ বছর বয়স্ক তাওসিফকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে। সে কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্র। তার ফেইস বুক আইডি থেকে জানা যায়, সে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শিক্ষার্থী।
ডেইলি অটোয়া সিটিজেন জানিয়েছে, তদন্তকারী দল ট্রানজিট স্টেশন ও দক্ষিণ-কি শপিং সেন্টার থেকে ভিডিও নজরদারি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাতে কি ছিলো জানা যায়নি।
এদিকে অটোয়াস্থ বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিষ্টার রেজাউর রহমানের (rezaur7@gmail.com) সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই নির্মম হত্যাকান্ডের ব্যাপারে তার পরিবার চাইলে তিনি আইনী সহযোগিতাসহ যে কোনো সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
টরন্টোতে জমে উঠছে নানামুখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড
কানাডায় ঋতুচক্রের শীত না এলেও শীতের ঋতুক্রীড়া শুরু হয়ে গেছে। সেই সাথে জমে উঠছে নানামুখী সাংস্কৃতি কর্মকান্ড। শনিরোব বার ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই গান, কবিতা, নৃত্য, চিত্র প্রদর্শনী, চলচিত্র উৎসব, সেমিনারের আয়োজন চলছে।
* গানে ও কথায় খ্যাতিমান নজরুলসঙ্গীত শিল্পী সোহরাব হোসেন ও ফিরোজা বেগমকে স্মরণে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা কানাডার বিশেষ এই আয়োজনে মিলিত হয়েছিলেন বৃহত্তর টরন্টোর জনপ্রিয় শিল্পী ও সুধীসমাজ।





* অপর দিকে পৃথুলা ও প্রমিতির মনমাতানো ফ্রাগমেন্টস টরন্টোর স্কারবোরো শহরের পি সি হো থিয়েটারে বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে অবস্থিত মেয়েদের আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ্বরি হোমসের কুমুদিনী কেয়ার ট্রাস্টের জন্য অনুষ্ঠিত হলো ফ্রাগমেন্টস ফান্ডরেইজিং ড্যান্স প্রোডাকশন।
টরন্টোর ড্যানফোর্ডস্থ বিসিসিএস-এ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একটি ব্যাতিক্রমী ব্যান্ড ‘একশো’ এর পরিবেশনা ‘সিনেমার গান এবং...’। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল টরন্টোর মিডিয়া ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘দাঁড়কাক প্রডাকশন’। একশো ব্যান্ড এর মুল কন্ঠশিল্পী হলেন শাহপার ঝুমা এবং রিয়াদ মাহমুদ।
* গত সপ্তাহে টরন্টোর ইয়র্ক উড থিয়েটার মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘এমনও যামিনী মধুরও চাঁদিনী’ শীর্ষক কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত সন্ধ্যা।
*মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আবৃত্তিকার প্রজ্ঞা লাবণী ও সঙ্গীতশিল্পী শহীদ খন্দকার টুকুর পরিবেশনায় এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠাটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল রেডিয়েন্স কমিউনিটি সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক। প্রচুর দর্শকের সমাগমে পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল উৎসবমুখর এবং বাঙালি কমিউনিটির পরিচিতজনদের একটি প্রাণোচ্ছল মিলনমেলা।
* উত্তর আমেরিকার অনেক শহরেই বাঙালি গুণীজনদের বসবাস গত তিন দশকে উল্লেখযোগ্য ভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে ‘এমন মজা হয়না/গায়ে সোনার গয়না’… খ্যাতআলেয়া শরাফী অন্যতম। তার উপস্থাপনা গ্র্যান্ড প্যালেস ব্যাষ্কোয়েট হলে সম্ভবত সেই দিনই প্রথম ছয়টি ভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর একই সাথে আগমন। সঙ্গীত ও নৃত্যের প্রকৃত আবেদন যা মানবিক ও সুকুমার বৃত্তিগুলোকে স্পর্শ করে- তা উপলব্ধির দুর্লভ সুযোগ সৃষ্টি করে আলেয়া শরাফী, অনুষ্ঠানে আগত ছয়টি ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষকে নিশ্চয় কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন।
* অপর দিকে- মিসিসাগার 'গ্যালারী প্রোমেনাড' হলে অনুষ্ঠিত গেলো শিল্পী সৈয়দ ইকবালের ১৬ম চিত্র প্রদর্শনী। দুই সপ্তাহের প্রদর্শনীতেস্থান পায় 'এক্রিলিক' এবং দূর্গা, রাধা-কৃষ্ণ, গৌতম বুদ্ধের ছবি।
---------------------
টরি টরন্টোর নতুন মেয়র নির্বাচিত
টরন্টো সিটির নির্বাচনে ৩,৯৪,৯০০ ভোট পেয়ে জন টরি টরন্টোর নতুন নগর পিতা
অর্থাৎ মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৬৪ প্রার্থীকে
হারিয়ে ৪০.৩% ভোট পেয়ে টরি বিজয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডগ ফোর্ড
৩৩০,৬০০ এবং অলিভিয়া চাউ ২২৭,০০০ ভোট পান। আর ক্যানাডিয়ান-বাংলাদেশি প্রার্থী
মনোয়ার হোসেন চতুর্থ বারের মতো প্রার্থী হয়ে ৬১৪ ভোট পান। কাউন্সিলার পদে বাংলাদেশি-ক্যানাডিয়ান সাত জনের মধ্যে কেউ বিজয়ী
হতে পারেননি।
উল্লেখ্য, নব নির্বাচিত নগর পিতা জন
টরি ছিলেন অন্টারিও কনজারভেটিভ দলের প্রধান। তিনি গত ২০০৩ সালে মেয়র নির্বাচনে এবং
২০০৭ সালে আবারো অন্টারিও নির্বাচনে পরাজিত হন। বস্তুত তিনি কানাডার ফেডারেল, প্রভিন্সিয়াল ও মিউনিসিপাল এই তিন স্তরেই দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত রাজনীতি করে
আসছেন। তবে ২০০৫ সালে টরন্টো থেকে এমপিপি নির্বাচিত হওয়া। জন টরির জন্ম ১৯৫৪ সালে।
১৯৭৫ সালে টরন্টো ইউনিভারসিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি নেন। ১৯৭৮ সালে ইয়র্ক
ইউনিভারসিটি থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি নেন। বিয়ে করেন ১৯৭৮ সালে। চার সন্তানের জনক
তিনি।
-----------------------
আগামী ২৭ অক্টোবর টরন্টোর মিউনিসিপালিটির নির্বাচন
এবংবাংলাদেশি প্রার্থীদের কথা
![]() |
জন টরি |
![]() |
ড্যগ ফোর্ড |
![]() |
অলিভিয়া চাউ |
কানাডার বাণিজ্যিক রাজধানী বলে খ্যাত
টরন্টোতে আগামী ২৭ অক্টোবর ব্যালটপত্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিউনিসিপালিটির
নির্বাচন। ৬৫ জন মেয়র প্রার্থীর নাম থাকলেও জনমত জরিপে অগ্রবর্তী রয়েছেন তিন
প্রার্থী। তারা হলেন- কনজারভেটিভ দলের জন টরি(৪১.২%), লিবারেল পার্টির
ড্যগ ফোর্ড (৩২.১%) এবং নিউ ডেমক্রেটিক পার্টির অলিভিয়া চাউ
(২৩.৪%)। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মেয়র প্রার্থী মনোয়ার
হোসেনও রয়েছেন। মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোয়ার হোসেনের এবারে লড়াই চতুর্থ লড়াই। তিনি
সাতদিনকে বলেন, আমি ঢাকা থেকেই ছাত্র জীবন হতেই রাজনীতি করি। আমি পাশ করতে পারিনা,
কিন্তু আমি জনগণের করতে চাই; তাই বার বার দাঁড়াই। প্রবাদের আছে, এক বার না পারিলে
দেখো শত বার। যদিও আরো ৯৬ বার সুযোগ আছে। আমার টাকা-পয়সা নেই; ডিজেবেলিটিতে থাকি।
তাই প্রচার কম।
![]() |
কাউন্সিলর প্রার্থী শহিদ উদ্দীন |
![]() |
কাউন্সিলর প্রার্থী রাসেল রহমান |
![]() |
কাউন্সিলর প্রার্থী কবিরুল মোল্লা |
বর্তমানে ২৮ হাজার ভোটারের টরন্টো
শহরের আসন্ন নির্বাচনে ৪৪ আসনের পৃথক ৪টি ওয়ার্ডে ৭ জন বাংলাদেশি-কানাডিয়ান কাউন্সিলর
এবং একজন স্কুল ট্রাস্টি পদে প্রতিযোগিতা করছেন। তারা হচ্ছেনঃ রাসেল রহমান-৩১, আনোয়ারুল কবীর-৩৫, ড. কবিরুল মোল্লা-৪২, শহিদ উদ্দীন-৩৫,মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন-২৮,শরিফ আহমেদ-৩৫, এবং দেওয়ান আজিম।
![]() |
কাউন্সিলর প্রার্থীশরিফ আহমেদ |
উল্লেখ্য, মেয়র প্রার্থী বর্তমান রব ফোর্ড দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পর সরে দাঁড়াতে হলো মেয়র নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে। তার শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে আসলেন তারই বড় ভাই ড্যগ ফোর্ড। ড্যগ ফোর্ড বর্তমানে ওয়ার্ড ২ (ইটবিকক্ নর্থ) এর কাউন্সিলর। তবে তিনি ওয়ার্ড ২-এ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র রব ফোর্ডের এতসব কেলেংকারীর ঘটনার পরও তার সমর্থকদের সংখ্যা কিন্তু কম ছিল না। একের পর এক মাদক কেলেংকারী, বউ পেটানো, যৌন হয়রানি, স্বজনপ্রীতি, মিডল ফিংগার প্রদর্শন, ট্রাফিক আইন লংঘনসহ আরো অনেক অঘটনের জন্ম দিয়ে শুধু টরন্টোতে নয়, আলোচিত হয়েছেন বিশ্বব্যাপী।
উল্লেখ্য, মেয়র প্রার্থী বর্তমান রব ফোর্ড দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত
হবার পর সরে দাঁড়াতে হলো মেয়র নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে। তার শূন্যস্থান
পূরণ করতে এগিয়ে আসলেন তারই বড় ভাই ড্যগ ফোর্ড। ড্যগ ফোর্ড বর্তমানে ওয়ার্ড ২
(ইটবিকক্ নর্থ) এর কাউন্সিলর। তবে তিনি ওয়ার্ড ২-এ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন। মেয়র রব ফোর্ডের এতসব কেলেংকারীর ঘটনার পরও তার সমর্থকদের সংখ্যা কিন্তু কম
ছিল না। একের পর এক মাদক কেলেংকারী, বউ পেটানো, যৌন হয়রানি, স্বজনপ্রীতি, মিডল
ফিংগার প্রদর্শন, ট্রাফিক আইন লংঘনসহ আরো অনেক অঘটনের জন্ম
দিয়ে শুধু টরন্টোতে নয়, আলোচিত হয়েছেন বিশ্বব্যাপী।
------------
যুদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদের বিরুদ্ধে এবং শান্তির পক্ষে কবিতা
বোধ
ও উচ্চারণের নান্দনিক প্রকাশের অনুভব থেকে টরন্টোর আবৃত্তি সংগঠন ‘বাচনিক’ আগামী ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় রয়্যাল কানাডিয়ান লিজিয়ন হল, ৯ ডজ রোডে আয়োজন করছে
যুদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ বিরোধী শান্তির স্বপক্ষে
কবিতাসন্ধ্যা “সুচেতনা”।
সভ্যতার
সূচনালগ্ন থেকে মানুষ বিভিন্ন কারণে যুদ্ধ, কলহ ও রক্তপাতে
লিপ্ত আবার পাশাপাশি শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় নিরন্তর প্রয়াসী। বর্তমান বৈশ্বিক
প্রেক্ষাপটে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধনীতি, সাম্প্রদায়িকতা ও
ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থানে জন্মভূমি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চলছে হানাহানি,
সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত নিপীড়ণ এবং মানব বিধ্বংসী যুদ্ধ।
স্বার্থান্বেষী, ক্ষমতালোভী মানুষ ও তাদের বর্বরতার বিরুদ্ধে
পৃথিবীর সংবেদনশীল মানুষ বিশেষ করে কবি, শিল্পী, গায়ক, ভাবুক, দার্শনিক ও
অন্যান্যরা তাদের সৃষ্টিকর্মে প্রতিবাদ করেছেন, রাস্তায়
নেমেছেন সাধারণ মানুষদের সাথে। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা, সঙ্গীত এবং
ভাস্কর্যে এর ছাপ পড়েছে গভীরভাবে, বিশেষ করে কবিতায়।
বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়, কবিরা স্বাধীনতাপূর্ব এবং
স্বাধীনতা উত্তর ইতিহাসের বিভিন্ন সন্ধিক্ষণে তাদের সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে এর
স্বাক্ষর রেখেছেন। ‘বাচনিক’-এর
আবৃত্তিশিল্পীরা কবিতার এই বিশেষ রূপটিকে তাদের আবৃত্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে
আগ্রহী। বাংলাদেশ ও বাংলাভাষার কবিতার পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য ভাষাভাষী কবিদের
কবিতার অনুবাদও তারা এই অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করবেন।
শুরুতে বিষয়ের উপর আলোচনা করবেন
কবি তুষার গায়েন এবং ‘বাংলা জর্নাল’-এর
সম্পাদক ইকবাল করিম হাসনু। একক এবং বৃন্দ আবৃত্তিতে অংশ নেবেন যথাক্রমে: মেরী
রাশেদীন, অরুণা হায়দার, ওয়ালি ইসলাম,
ববি রব্বানি, ম্যাক আজাদ, সৈয়দা মারজিয়া মৌ, সুমন মালিক, দিলারা নাহার বাবু, মৌ মধুবন্তী, সুমি রহমান, রাশেদা মুনির, হোসনে
আরা বেগম, ফারহানা আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন কবি
দেলওয়ার এলাহী। কি বোর্ড এবং বাঁশীতে থাকবেন মামুন কায়সার এবং জাহাঙ্গীর হোসেন।
কৃতজ্ঞতাঃ
দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম
=========

লায়লা বিকল্প রুনা লায়লাই, মন্ট্রিয়লের স্পার্ক ম্যনেজমেন্ট-এর উদ্যোগে 'লাসল'
জমজমাট অডিটোরিয়ামে তা আবারো প্রমাণ করলেন। মাতিয়ে গেলেন ভক্ত-দির্শক-শ্রোতাদের। গত শনিবার পৌঁনে নয়টায় তিনি মঞ্চে উঠলেন। তারপর গাইলেন একের পর এক তাঁর ২১টি গান গেয়ে
মুগ্ধ করলেন প্রবাসীদের। সেই বিখ্যাত গানগুলো: এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেওনা,
সাধের লাউ বানাইলো মোরে, শিল্পী আমি তোমাদেরই
গান শোনাবো, ইস্টিশনের রেল গাড়িটাসহ আরও জনপ্রিয় বাংলাগান,
হিন্দিও। সেই সাথে গাইলেন গজলও 'রাঞ্জিশ হি
সাহি'।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও
অতিথী শিল্পীদের মাঝে যার পারফরমেন্স চোখে পড়ার মতো ছিল, তিনি হলেন 'ইণ্ডিয়ান আইডলের অন্যতম কন্টেসটেন্ট'
শিল্পী নিলেশ। উল্লেখ্য, স্পার্ক এর আগে
মন্ট্রিয়লে শ্রেয়া ঘোষাল, মিকা সিং, বালামদের
নিয়ে উঁচুমানের অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে।
===============
বিশিষ্ট সাংবাদিক, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম গত সপ্তাহে এক ব্যগতিগত সফরে এসেছিলেন কানাডায়। মাত্র
একদিনের জন্যে ঘুরে গেলেন টরন্টো। যোগ দিলেন একটি স্থানীয় অনুষ্ঠানেও।
বর্তমানে কথাশিল্পী ও দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এবং নঈম নিজাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন।
=======
কানাডা থেকে প্রতি বছর ১০ হাজারের বেশি বহিষ্কার
প্রতি বছর ১০ হাজারের বেশি লোককে কানাডা বহিষ্কার করে। এদের মধ্যে কানাডার অভিবাসী নাগরিকও রয়েছেন। তারা শুধু যে নানান অপরাধে অপরাধীই নয়; ৭০ শতাংশ লোকই উদ্বাস্তু। কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) দেয়া নথিপত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাইভেসি সম্পর্কিত আইনের কারণে সিবিএসএ কোন ব্যক্তিকে বহিষ্কার সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করে না। ফলে বেশিরভাগ কানাডীয়কে কেবল সংবাদমাধ্যমে মাঝেমধ্যে প্রকাশিত তথ্য পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
সম্প্রতি সিবিএসএর রিপোর্ট মোতাবেক টরস্টার নিউজ সার্ভিস এক নতুন পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, ২০০৪ সালের শুরু থেকে ২০১৪ জুন শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এক লাখ ৪৮ হাজার ৫৭ জন্য লোককে কানাডা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশ লোকই উদ্বাস্তু হিসাবে আশ্রয় পাবার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে পারেনি।
উদ্বাস্তু হিসাবে আশ্রয় লাভের আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়া লোকেদের সংখ্যা প্রতি বছরই বেড়েছে। এক দশক আগে যে সংখ্যা ছিলো বছরে ৮০০০ সেটি ২০১২ সালে ছিলো ১৩০০০এর বেশি। ২০১৩ সালে অবশ্য সংখ্যাটি ১০,৫০৫ জনে নেমে আসে।
স্থানীয় প্রবাসী কন্ঠ থেকে আরো জানা যায়, এসব লোকেদের মধ্যে ৫০০ জনকে এমন পাঁচটি দেশে পাঠানো হয় যেখানে কানাডার বহিষ্কারের আইনগত অধিকার রয়েছে। দেশগুলো হলো, হাইতি, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, জিম্বাবুয়ে, ইরাক ও আফগানিস্তান।
উল্লেখ্য, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি যুদ্ধাপরাধী, নির্যাতন, গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার মতো অপরাধমূলক কর্মকান্ডের রেকর্ড থাকে তাহলে তাকে ফেরত পাঠানোর অধিকার সরকারের রয়েছে অথবা দ্বীপান্তরে পাঠানোর বিধান আছে।
তাই, বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে দ্বীপান্তরে পাঠানোর দাবি তুলেছে প্রবাসী বাঙালিরা।
=============
কানাডার সাবেক হাই কমিশনার
ইয়াকুব
আলীও মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতি করেছেন

তারা হলেন- স্বাস্থ্য সচিব নিয়াজ
উদ্দিন মিয়া, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব এ কে এম আমির হোসেন,
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী,
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (ওএসডি) আবুল কাসেম
তালুকদারকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কানাডার সাবেক হাই কমিশনার
ইয়াকুব আলীও মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতি করে তার চাকরির সময়সীমা বৃদ্ধি করেছিলে।
জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে সেটাও তদন্ত করা উচিত বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
এছাড়াও তদন্তে দেখা গেছে, তিনি
কানাডায় হাই কমিশনার কোটি টাকার দূর্নীতি করেছেন। যা অডিট রিপোর্টে প্রমানিত।
---------
লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এটা গভীর ষড়যন্ত্রঃ সেলিনা সিদ্দিকী
লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এটা একটা
গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনার কাছ থেকে তাঁকে দূরে
সরিয়ে রাখার অপচেষ্টা করছে। যে ভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে তাজুদ্দিন আহমদকে সরানো হয়েছে,
সে ভাবেই তারা এগুচ্ছে। গভীর আক্ষেপে কথাগুলো বলেন লতিফ সিদ্দিকীর ছোট বোন সেলিনা সিদ্দিকী
শুশু।
শুশু সাতদিণ আরো বলবেন, আজ যে ভাবে তিলকে তাল করে একটি ইস্যুকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
ভাবে ধর্মব্যবসায়ীদের কাছে ইচ্ছেকৃত ভাবে উচকে দেয়া হচ্ছে, তা ধর্ম নিরেপেক্ষ বাংলাদেশের
ভবিষতের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর! তা থেকে আগামীতে কেউ রেহাই পাবে না।
টরন্টোতে বসবাসরত সেলিনা সিদ্দিকী শুশু জানান, লতিফ সিদ্দিকী ঘরোয়া পরিবেশে
একটি কথা বলেছেন। আর তা মোটেও হজ্বের বিরুদ্ধে না। তিনি নিজেও ১৯৯৮ সালে হজ্বব্রত পালন
করেছেন। তাঁর বক্তব্যে হজ্বের অর্থনৈতিক বিষয়টির কথা বলেছিলেন। যা রূপ রং দিয়ে রঙ্গিণ
করে একশ্রেণির মিডিয়া। সেখানে তো সাংবাদিক
ছিলোনা। তাহলে কি ভাবে তা প্রচার হলো? বিদেশের মাটিতেও কালো বিড়াল উৎ পেতে আছে।
শুশু দুঃক্ষ করে বলবেন, আমাদের পরিবার বাংলাদেশের জন্মের সাথে জড়িত। যারা
আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা মূলত মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধেই
সুদূর প্রয়াসী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরা দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নৎসাতে লিপ্ত। এরা
নাস্তিকতা-ফতোয়ার অপবাদ ছড়িয়ে দেশেকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা পারিবারিক ভাবেই
মুসলিম পরিবারের, সিদ্দিকী পরিবারের। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি
ধর্ম নিয়ে কোনো আপত্তিকর কথা বলেছেন, তার নজির নেই।
তাছাড়া সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে যা সাজানো খরব
প্রচার হচ্ছে, তাও সঠিক নয়। নিউ জার্সির ড নূরুন্নবী সেকাহ্নে উপস্থিত ছিলেন। তিনি
গতকাল তার প্রতিবাদ করেছেন।
আজ এরশাদ লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি দাবি করে। তাঁর অতীতের সকল নোংরা ইসিহাস
এখনো জনগণ ভুলে যান নি।
লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফিরে যাবেন ইঙ্গিত দিয়ে শুশু বনেন, আমরা ছোটবেলা থেকে
দেখেছি, ভাই জেলে যাচ্ছেন, জেল থেকে বেরুচ্ছে। কারাগার তাঁর দ্বিতীয় ঘরবাড়ি। জীবনের
১৪/১৫ বছর তিনি সেখানেই কাটিছেন। তাই তিনি গ্রেফতারি, কারাবরণে মোটেও ভীত নন।
লতিফ সিদ্দিকী এখন কোথায় আছেন, এই প্রশ্নের জবাবে শুশু বলেন, আমার সাথে
যোগাযোগ হয়নি। আমি সঠিক জানিনা।
================
দুই হাইকমিশনারের ঈদের শুভেচ্ছা
কানাডাস্থ
বাংলাদেশ হাইকনিশনের হাই কমিশনার জনাব কামরুল আহসান পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে
প্রবাসী সকল বাঙালিকে ঈদের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানান। তিনি আজ অটোয়া ইত্তেফাককে
ফোন করে বলেন, ঈদুল আজহা সকল অভিবাসীদের জন্য আনন্দপূর্ণ ও কল্যাণকর কামনা করেন। পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দূর্গপুজা উপলক্ষেও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
অপর দিকে, বাংলাদেশিদের বিশেষ করে
হজ্ব পালনকারীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন।
==========
কানাডায় ঈদ এবং পুজো্র জমজমাট উৎসব চলছে
মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা আজ চৌঠা অক্টোবর কানাডার বিভিন্ন শহরে পালিত হচ্ছে। টরন্টো নগরীতেও সেই আনন্দঘন পরিবেশে পবিত্র ঈদ উদযাপন চলছে। ঈদের আমেজে প্রবাসী বাঙালিরা ড্যানফোর্থের বায়তুল মোকারম, বায়তুল আমান মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে। আবার অনেকেই আগামী কালও ঈদের নামাজ পড়বে। এবার এই ঈদোৎসব পড়েছে ছুটির দিন শনি-রোববার। ফলে আনন্দের মাত্রায় যুক্ত হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে গত সপ্তাহ থেকে চলছে ঈদমেলা।
---------------------
অপর দিকে, একই সময়ে চলছে দূর্গপুজা উৎসব। ধর্মাশ্রম, দূর্গাবাড়ি মন্দির, কালিবাড়ি মন্দির, টরন্টো হিন্দু কল্যাণ সোসাইটিতে সপ্তাহব্যাপী জমজমাট পুজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গউৎসব চলছে।
নানান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ছাড়াও জমজমাট ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। এতে ভারতীয় শিল্পী ছাড়াও স্থানীয় শিল্পীরা অংশ দেন।
=======
রানা প্লাজার গল্প 'মেইড ইন বাংলাদেশ' পেলো এমি এওয়ার্ড
![]() |
পরিচালক লাইসান লুটার |
গত বছর সাভারের রানা প্লাজার মর্মান্তিক দূর্ঘটনার পর কানাডার সিবিসি টেলিভিশনের সংবাদ বিষয়ক অনুষ্ঠান 'ফিফ্থ স্টেট' প্রচারিত প্রামান্যচিত্র 'মেইড ইন বাংলাদেশ'-এর জন্য সিবিসি'র প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ফিফ্থ স্টেট, নিউজ এন্ড কারেন্ট এফেয়ার্স বিভাগে এবছরের ইন্টারন্যাশনাল একাডেমী অব টেলিভিশন আট্স এন্ড সায়েন্স অর্থাৎ আন্তর্জাতিক এমি পুরস্কারে পেল। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নিউইয়র্কের লিংন্কন সেন্টারে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ পুরষ্কারের প্রদান করা হয়। এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মেইড ইন বাংলাদেশের প্রযোজক, পরিচালক লাইসান লুটার ও অনুষ্ঠান উপস্থাপক ও লেখক মার্ক ক্যালী।
'মেইড ইন বাংলাদেশ' এমনই একটি ব্যক্তিগত অভিযান যা দেখলে দূরের বাংলাদেশের গল্প দর্শকের কাছে আর দূরের থাকে না। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে সিবিসির ফিফ্থ স্টেট তাদের মুন্সিয়ানা অক্ষুন্ন রেখে ঘটনার একেবারে চুলচেরা তুলে ধরেছেন নির্মোহ আর আন্তরিক বিস্বস্থতায়। কোন কোন ক্ষেত্রে মাত্র চব্বিশ সেন্ট ঘন্টা মজুরীতে কি করে বাংলাদেশের শ্রমিক মুখবুঝে মৃত্যুর সাথে প্রতিনিয়ত পাল্লা দিচ্ছে তা দেখে শিউরে উঠতে হয়। কিছু লোভী ব্যবসায়ী ও দেশীয় এক শ্রেনীর অর্থ লিপ্স গার্মেন্ট ব্যাবসায়ীর কথা ও তাদের কর্মকান্ড বিষদ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে পঁয়তাল্লিশ মিনিট দৈর্ঘের এই টেলিভিশন প্রামাণ্যচিত্রে। সিবিসিতে এই প্রামাণ্যচিত্র প্রথম প্রচারিত হয় ১১ অক্টোবর ২০১৩।
============
লতিফ সিদ্দিকী কি কানাডা আসছেন?
মন্ত্রীসভা থেকে অপসারিতব্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী নিউ ইয়র্ক থেকে মেক্সিকোতে গেছেন। সেখান থেকে কানাডায় আসতে পারেন বলে একটি সূত্রে গেছে। বর্তমানে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত সদ্য সমাপ্ত Wold Congress on InfomatioTechnology'তে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, লতিফ
সিদ্দিকীর বোন এবং মেয়ে টরন্টো বসবাস করেন। হয়ত তাই, সাম্প্রতিক বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে কানাডায়
আসতে পারেন। তবে এ সংবাদের সত্যতা জানা যায়নি।
অপর দিকে, অন্য এক খবরে প্রকাশ, Wold Congress on InfomatioTechnolog অর্থাৎ WCIT Mixico ২০১৪-তে WITSA Award ৫টির মধ্যে পেয়েছে বাংলাদেশ দু’টি পদক এবং বাংলাদেশ জাপানকে হারিয়ে WITSA’র ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিসিএর প্রতিনিধি সবুর খান।
==================================
কানাডায় আবারো অভিবাসীবিরোধী লিফলেট
সম্প্রতি আবারও অভিবাসনবিরোধী প্রচারপত্র পাওয়া গেছে টরন্টোস্থ ব্রাম্পটনে। প্রচারপত্রে ইমিগ্রেশন ওয়াচ কানাডা নামে একটি সংগঠনের নাম লেখা রয়েছে। গত এপ্রিলেও ব্রাম্পটনের ওয়েলিংটন স্ট্রিটে একইধরণের প্রচারপত্র বিলিকারী করা হয়েছিলো। তাতে লেখা ছিলো- ‘অপ্রয়োজনীয় অভিবাসন কানাডাকে ধ্বংস করছে।’ তবে গতবারের স্বীকার করা ব্রিটিশ কলম্বিয়ার এই সংগঠনের মুখপাত্র ড্যান মারে টরস্টার নিউজ সার্ভিসকে এবারেরবিলিকৃত প্রচারপত্রের দায়িত্ব অস্বীকার করেছে। প্রচারপত্রে ইমিগ্রেশন ওয়াচ কানাডা নামে একটি সংগঠনের নাম লেখা রয়েছে।
ব্রাম্পটনের আবাসিক এলাকার বাড়ির ডাকবাক্সে ওই প্রচারপত্র পেয়ে ‘হতাশ’ হয়েছেন নিরঞ্জন সিংহ। এক পৃষ্ঠার এই লিফলেটে নীলপাগড়ি পরা একজন শিখের ছবি রয়েছে। ছবির ওপর দিয়ে লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘কানাডায় তৃতীয় বিশ্বের লোকেদেরব্যাপক অনুপ্রবেশকে ‘না’ বলুন!’
পুলিশ ওই প্রচারপত্রকে ‘ক্ষতিকর ও আঘাতস্বরূপ’ বলে মন্তব্য করেছে। কনস্টেবল জর্জ টিউডস বলেন, ‘‘জনগণ এগিয়ে আসারপাশাপাশি পুলিশও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’’ তবে এই প্রচারপত্রকে বিদ্বেষমূলক
বলে ধরে নেয়া যাবে না।
=============
শাহীন রেজা নূর এখন কানাডায়

===========
শামা রহমানের কন্ঠে মুগ্ধ সবাই
গত ২৬ সেপ্টেম্বর শুত্রবার বিশিষ্ট
রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী শামা রহমানের একক গানের আসর ছিলো টরন্টোর অদূরে এলাক্সে।
আসরে তিনি তাঁর সুরেলা কন্ঠে গান শুনিয়ে মুদ্ধ করেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের। এই সঙ্গীত
সন্ধ্যায় শামা রহমান তুলে ধরেন রবীন্দ্রনাথের আবেদন।
=========
কানাডায় তিনটি শহীদ মিনার হচ্ছে
কানাডায় তিনটি শহীদ মিনারের প্রস্তুতি চলছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মন্ট্রিয়েল
উদ্যোগে মন্ট্রিয়েল শহীদ মিনারের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এই
শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে ভ্যানহর্ন পার্কে। সিটি অব মন্ট্রিয়েল শহীদ মিনারের
জন্য এই স্থান নির্বাচন করেছে।
এদিকে টরন্টোতে আরো দু’টি শহীদ মিনার
তৈরি হবে বলে বাংলাদেশ দূতাবাসের হাই কমিশনার কামরুল আহসান ইত্তেফাককে জানান। আর
মধ্যে একটি মোহাম্মদ আলী বোখারী নেতৃত্বে ১৯৬৭ এলড্র মেয়র রোডস্থ কনফেডারেশন
পার্কে আর অন্যটি টরন্টোস্থ বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ড্যানফোর্থের ক্রিসেন্ট টাউন
সংলগ্ন টেলর ক্রিক পার্কে। এই শহীদ মিনার নির্মাণে স্থানীয় এম পি ম্যাথিও কলওয়ে
সহযোগিতা করছেন।
উল্লেখ্য, ভ্যাঙ্কুভারের বিয়ার ক্রিক
পার্কে ২০০৯ সালের ১১ জুলাই ভাষা আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শণ স্বরূপ ‘লিঙ্গুয়া
অ্যাকুয়া’ নামে জলের স্মৃতি সৌধ নির্মিত হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ভ্যাঙ্কুভারের প্র্য়াত
রফিকুল ইসলাম আর আব্দুস সালামের উদ্যোগেই ২১শে ফেব্রুয়ারিকে জাতি সংঘ আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করেছে। আর কানাডার মন্ট্রিয়লেই শেষ জীবনে শেকড় গেড়ে ছিলেন-
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রথম নক্সাবিদ হামিদুর রহমান।==========
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীর দেশের তালিকায় কানাডা
বিশ্বের শীর্ষ দশ সুখী দেশের তালিকায় নারীর
কানাডা এবার তালিকাতেও স্থান করে নিলো। আর সেই সৌন্দর্য হলো- সুন্দরী নারী। অন্যরকম
কদর রয়েছে পৃথিবী জুড়ে। একটি সুন্দর মুখের কাছে অনেক কিছুই হার মেনে যায়। পৃথিবীর সব
দেশেই আছে সুন্দরী নারী।
ভারতীয় নারীদের কালো চুল আর বাদামী ত্বকের সবচাইতে নজরকাড়া সৌন্দর্য সারা
বিশ্বে নন্দিত হলেও তাঁদের হার মানিয়ে শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে ব্রাজিল। আর ভারতের
অবস্থান চতুর্থে। কানাডা রয়েছে তালিকার সপ্তমে। এক জরিপে বলা হয়, কানাডীয় নারীদের মাঝে
রয়েছে অন্যতম এক উষ্ণতা যা সহজেই মানুষকে আকর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, বলা হয় তাদের ফ্যাশন
সেন্সও অনেক ভালো।
শীর্ষ সেরা দশ সুন্দরী নারীর দেশগুলো হলো- ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা,
রাশিয়া, ভারত, স্লোভাকিয়া, সুইডেন্, কানাডা, আর্জেন্টিনা, ইউক্রেইন এবং কলম্বিয়া।
উলেক্ষ্য, প্রতিবেদনে বলা হয়- কলম্বিয়া খুব অপরাধে
ভরা একটি দেশ হলেও এই দেশের নারীরা তাদের সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত বটে।----------------
বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় কানাডা
বিশ্বের শীর্ষ দশ সুখী দেশের তালিকায় কানাডার
স্থান পঞ্চম। অর্গানাইজেশন অব ইকোনোমিক কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট বা ওইসিডি বিশ্বের সবচেয়ে সুখী ১০টি দেশের তালিকা নির্ধারণ করেছে। এই তালিকার সর্ব
শীর্ষে রয়েছে- অস্ট্রেলিয়া।
এ তালিকা নির্ধারণে পরিবেশগত গুণাগুণ, স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন, বাসস্থানের
সুযোগ-সুবিধা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্র, মাথাপিছু আয়-উপার্জন থেকে শুরু করে
সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ১১টি ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক বিবেচনা করা হয়। পর্যায়ক্রমে
সুখী দেশগুলো হচ্ছে- অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা,
সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় মাথাপিছু একজন ব্যক্তির বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ ৩১১৯৭ মার্কিন ডলার। সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার রেটিং সবচেয়ে বেশি।------------
টরন্টো ম্যাট্রো সেন্টারে ইউনিভার্সিটি ফেয়ার
গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর টরন্টো ম্যাট্রো কনভেনশন সেন্টারে অন্টারিও ইউনিভার্সিটি ফেয়ার ২০১৪ অনুষ্ঠিত হলো। তিনদিনব্যাপী এই মেলায় অন্টারিও প্রদেশের ২৫টি বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উৎসব মুখরিত পরিবেশে দিনব্যাপী অংশ দেয়। ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো আয়োজিত এই মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এতে মত বিনিময় আর আড্ডায় মেতে থাকতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সেরা ১০০ বিশ্ব বিদ্যালয়ের কানাডায় স্থান পেয়েছে তিনটি। ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো (তালিকা ৩১/ র্যাঙ্ক ১), ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি (তালিকা ৪২/ র্যাঙ্ক ২), ইউনিভার্সিটি অফ বৃটিশ কলোম্বিয়া (তালিকা ৬১/ র্যাঙ্ক ৩)। অপর আরেক জরিপে জানা গেছে, কানাডায় উচ্চশিক্ষিত মানুষের হারে সর্ব শীর্ষে। দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশির বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় বা সমমানের ডিগ্রি রয়েছে।==========
টরন্টো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন রাসেল রহমান
এতে টরন্টোর বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা অংশ নেন। আর অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ ছিল আগত কন্ঠশিল্পী কনকচাঁপা'র গান। এছাড়াও স্থানীয় শিল্পীরাও এতে সংগীত পরিবেশন করেন।
-------
কানাডার জাতীয় নির্বাচনে টরন্টো থেকে বাংলাদেশী প্রার্থী
ইতোপূর্বে মন্টিয়ল থেকে কানাডার জাতীয় নির্বাচনে বেশ ক’জন বাংলাদেশী কানাডিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও টরন্টো থেকে এ পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে অংশ নেননি। তবে আসন্ন ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবরের ৪২তম পার্লামেন্ট জন্য নির্বাচনে বেশ ক’জন বাংলাদেশী-কানাডিয়ান অংশ গ্রহনের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলেন- সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী বোখারী, ব্যারিস্টার চয়নিকা দত্ত, ব্যারিস্টার কামরুল হাফিজ, শামসুল ইসলাম এবং আলমগীর হোসাইন।
এদের মধ্যে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ব্যরিস্টার হাফিজ প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করবেন বিচেস ইস্ট ইয়র্ক রাইডিং থেকে। বাদ বাকী সবাই লিবারেল পার্টির স্কারবরো সাউথ ওয়েস্ট রাইডিং আসন থেকে অংশ নেয়ার চেষ্টা করছেন।
টরন্টোতে প্রায় ৬০/৭০ হাজার বাংলাদেশী থাকেন বলে ধরা যেতে পারে। আর এদের বেশীর ভাগই থাকেন ভিক্টোরিয়া পার্ক ও ড্যানফোর্থ এলাকায়। আর তার অধিকাংশই থাকেন এই দুই রাইডিং এলাকায় যেটি বিভক্ত হয়েছে ভিক্টোরিয়া পার্ক এ্যাভিনির মাধ্যমে। ভিক্টোরিয়া পার্ক এ্যাভিনিউর পশ্চিমে অবস্থিত বিচেস ইস্ট ইয়র্ক আর পূর্বে অবস্থিত স্কারবরো সাউথ। এই দুই আসনে প্রায় দশ হাজার বাংলাদেশী-কানাডিয়ান ভোটার রয়েছেন; যারা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবান্বিত করে। ফলে বাংলাদেশী প্রার্থীদের বিজয় উড়িয়ে দেয়া যায়না।
উল্লেখ্য, কানাডায় বর্তমান ৩০৮ আসনের পরিবর্তে আগামী নির্বাচনে ৩৩৮টি আসনে উন্নিত করা হয়েছে। যা কার্যকর হবে আগামী নির্বাচনে।============
শেষ হলো জমজমট ৩৯তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
গত রোববার ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ হলো
৩৯তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ চলচ্চিত্র উৎসবে
এবার ৯৭টি দেশের ২৮৫টি পূর্ণ দৈর্ঘ এবং ১০৮টি স্বল্প দৈর্ঘ ছবি
প্রদর্শিত হয়। গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর টরন্টোর ডাউন টাউনে প্রিন্সেস অব ওয়েলস থিয়েটার
হলে হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতার সামনে উৎসবের প্রধান নির্বাহী পিয়ার্স হ্যান্ডলিন উদ্বোধন
করেন। ডেভিড ডবকিনের ‘জাজ’ ছবির দিয়ে টিআইএফএফ’র প্রদর্শনী শুরু হয়।
ব্রিটিশ গণিতবিদ অ্যালান টিউরিংয়ের জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘দ্য ইমিটেশন গেম’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান নৌবাহিনীর সঙ্কেতলিপির সমাধান বের করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন অ্যালান। তার ওই সমাধানের সুবাদে যুদ্ধের ইতি ঘটে। তাকেই আধুনিক কম্পিউটারের জনক ভাবা হয়। কিন্তু সমকামী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে ১৯৫৪ সালে ৪১ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন তিনি। ১৯৫২ সালে ব্রিটেনে সমকামিতা নিষিদ্ধ ছিল। এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেতেই রাজি হয়ে যান বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। মর্টেন টিলডাম পরিচালিত চলচ্চিত্রে টিউরিংয়ের ভূমিকায় অভিনয়ের সুবাদে পিপল’স চয়েস এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। ৩৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ এই অভিনেতা বলেন, এখানে বিশাল চাপ ছিল। দায়িত্বের ভার প্রতিটি মুহূর্তে টের পেয়েছি। তিনি ছিলেন অসাধারণ একজন মানুষ।
এবারের আসরে সেরা এশিয়ান চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে সোনালি বোস পরিচালিত ‘মার্গারিটা, উইথ অ্যাস্ট্র’। সেরা প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে সুদানের বু নীলে ও নুবা মাউন্টেনসের শরণার্থীদের ওপর হাজুজ কুকা নির্মিত ‘বিটস অব দ্য আন্তোনভ’। মার্কিন সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ডেভিড থর্প নির্মিত ‘ডু আই সাউন্ড গ্লে’ প্রথম রানারআপ এবং ইথান হাউকির সংগীতনিভর প্রামাণ্যচিত্র ‘সিমুর : এ্যান ইনট্রোডাকশন’ দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে। সমালোচক পুরস্কার পেয়েছে আবদ আল মালিকের ‘মে আলাহ বেস ফ্রান্স!’ সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হয়েছে সটিরিস ডুনুকোস পরিচালিত ‘অ্যা সিঙ্গেল বডি’। বিচারকদের দৃষ্টিতে পুরস্কৃত হয়েছে ওরেন মুভারম্যান পরিচালিত ‘টাইম আউট অব মাইন্ড’। মধ্যরাতের উন্মাদনা অংশে পিপল’স চয়েস এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ‘হোয়াট উই ডু ইন দ্য শ্যাডোস’।
=======
কানাডার এখন কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীদের উৎসবকেন্দ্র
![]() |
রঙের মেলায় কনক চাপা |
কানাডার যেনো এখন কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীদের আনন্দমেলা। কেউ আসছেন গান করতে, কাউবা
বইমেলায়, আবার কেউবা ঘুরতে-বেড়াতে। এমাসেই শিল্পী ফেরদৌস আরা, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী
মহিউজ্জামান ময়না, ইকবাল আহমেদ, কবি আবু করিম, সিদ্ধার্থ হক, শামীম রেজা, শামীমুল হক শামীম, নাট্যকার
অরুণ চৌধুরী, চয়নিকা চৌধুরী, অভিনেত্রী শান্তা ইসলাম, অগ্নিলা ইকবাল প্রমুখ কানাডার বিভিন্ন শহরে আসছেন,
যাচ্ছেন। আগামীতে নভেম্বরে আসছেন রুনা লায়লা। আর অক্টোবরে আসবেন বাপ্পা মজুমদার। ফলে
প্রায় প্রতি সপ্তাহেই চলছে নানা ধরণের অনুষ্ঠান।
এই তো গতকাল ছিলো প্রবল
বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মন্ট্রিয়লের প্রবাসী
বাঙালিরা হাজির হয়েছিলো ছিলো বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মন্ট্রিয়লের ‘রঙের মেলা’য়। গানের সময় হলটি কানায় কানায় পূর্ণ। বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিল্পী কনক
চাপা, প্রতীক হাসানের কনক চাপা, প্রতীক হাসান,
জুবায়ের টিপু সত্যিই মন্ট্রিয়লের শ্রোতাদেরকে আনন্দ দিয়েছেন তা
নিঃসন্দেহে বলা যায়। সেই সাথে জমজমাট ‘রঙের মেলা’য় অংশ নেয় স্থানীয় শিল্পীরা। এদিকে শিল্পী ফিরোজা বেগমের মৃত্যুতে কানাডাতেও শোকের ছায়া নেমে আসে।
-------------------------
অমিত চাকমা বাংলাদেশের অহংকার, বাংলাদেশের গৌরব
অমিত চাকমা বাংলাদেশের অহংকার, বাংলাদেশের গৌরব। তিনি তাঁর নান্দনিক বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের বিরল সম্মানে স্থান দিয়েছেন। গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো (ইউএফটি) স্কারবোরো ক্যাম্পাসের লেকচার থিয়েটারে আইসি হলে তাঁকে দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তারা এ কথা বলেন।
টরন্টোর বাংলাদেশি কমিউনিটি আয়োজিত এই মনোজ্ঞ সন্ধ্যায় প্রবাসী বাঙালিরা অংশ নেন। বর্তমানে তিনি কানাডার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্নের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস চ্যান্সেল। অমিত প্রথম বাংলাদেশি-কানাডিয়ান যিনি এই বিরল সন্মানে অধিষ্ঠ। এ সময় কানাডার ৪০ বছরের কম বয়সী শীর্ষ ৪০ জন ব্যক্তিত্বের তালিকায় তাঁর নাম স্থান পায়।
উলেক্ষ্য, প্রফেসর ড. অমিত চাকমার জন্ম বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের এক চাকমা পরিবারে, ১৯৫৮ সালের ২৫ এপ্রিল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. অমিত আপ্লুত কণ্ঠে তাঁর শেকড় বাংলাদেশ এবং বিকাশ ও বিস্তার কানাডার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।------
চলে গেলেন সুমনা
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সুনমা ইকবাল কাউন্সিলার(পলিটিক্যাল)তাঁর মেয়াদ শেষ করে কানাডা থেকে বদলি হয়ে ব্রাজিলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের যোগ দিয়েছেন, এম্বেসেডর হিসেবে। যাবার আগে তাকে দুতাবাস থেকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ক'দিন আগেই ব্রাজিলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দিলেন কৃতি কুটনীতিবিদ ইমরুল কায়েস। অপর দিকে, মেয়াদ শেষ করে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ফিরে গিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েছেন আরেক কর্মকর্তা রাহাত বিন জামান।
বিশ্বের সেরা দশে কানাডার তিন শহর
বিশ্বের সেরা
দশটি শহরের মধ্যে রয়েছে কানাডারই তিন শহর। শহর তিনটি হচ্ছে- টরন্টো,
ভ্যাঙ্কুভার এবং ক্যালগরি। ভূস্বর্গ বলে খ্যাত ভ্যাঙ্কুভার ইতোপূর্বে বেশ ক’বার সেরা
শহর হিসেবে স্থান করে নিয়েছিলো। আর অষ্ট্রেলিয়ার চারট শহর পার্থ, সিডনি, অ্যাডেলাইড এবং মেলবোর্ন স্থান পেয়েছে।
বিশ্বে মানুষের বাসযোগ্য স্থানগুলোর তুলনামূলক একটি তালিকা করেছে 'দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট'। তাদের এই গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নত দেশের কম ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোই মূলত মানুষের বাসযোগ্য স্থানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এসব স্থানের জনসংখ্যা ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩.৪০ থেকে ২.৮৮ জন।=======
কানাডা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব!
কানাডার অস্থির এবং নিত্য পরিবর্তিত ইমিগ্রেন্ট নীতিমালায় এবার যুক্ত হচ্ছে- জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিধান। কানাডায় জন্ম নেয়া জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের পরিমাণ বছরে ৫ শতাংশ। যাদের জন্ম হয় পিতামাতা অস্থায়ী ভাবে এসে চাকরির সূত্রে বা পড়াশোনা কিংবা পর্যটক ভিসায় ভ্রমণের সময়। সেই সব সন্তান এখন থেকে আর জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাবে না। ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশীপ মন্ত্রি ক্রিস আলেক্সান্ডারের মন্ত্রণালয় সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। তাতে যুক্তি দেখানো হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডাতেই শুধু মাত্র জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার আছে। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে নেই। আঠারো বছরের পর এই সন্তানেরা স্পন্সর করে বাবা-মাকে আমেরিকা-কানাডায় নিয়ে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, কনজাভেটিব পার্টির সাবেক ইমিগ্রেশন মন্ত্রি জেসন কেনি তৎকালীন লিবারেল পার্টির প্রবর্তিত এই ‘বার্থ ট্যুরিজম’ ১৯৯০ সালে বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিলো। কিন্তু প্রতিবাদের মুখে তা এটি কার্যকর হয়নি। এবার কি হয়, তা দেখার অপেক্ষায়।
================
কানাডায় উচ্চশিক্ষিত হারে শীর্ষে
বিশ্বে কানাডায় উচ্চশিক্ষিত মানুষের হারে সর্ব শীর্ষে। অরগানাইজেশন ফর
ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) সম্প্রতি একটি গবেষণা চালিয়ে এই
তথ্য প্রকাশ করে। তাদের জরিপে প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চশিক্ষার হারে এগিয়ে আছে কানাডা।
দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশির বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় বা সমমানের ডিগ্রি
রয়েছে।
উচ্চশিক্ষায় কানাডার পরে রয়েছে
ইসরায়েল। তাদের ৪৬ শতাংশ নাগরিক উচ্চ শিক্ষিত। এরপর রয়েছে জাপান। ৪৫ শতাংশ
উচ্চশিক্ষার হার নিয়ে তাদের অবস্থান তৃতীয়। আর বিশ্ব পরাশক্তি মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান চতুর্থ। তাদের ৪২ শতাংশ নাগরিকের বিশ্ববিদ্যালয়ের বা
সমমানের ডিগ্রি আছে। সেরা দশের তালিকায় এশিয়ার আরেক প্রতিনিধি দক্ষিণ কোরিয়া। ৪০
শতাংশ উচ্চশিক্ষার হার নিয়ে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ২০১২ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর একমাত্র দেশ কানাডা, যাদের
৫১ শতাংশ নাগরিকের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে। কানাডার এমন সর্বোচ্চ উচ্চ
শিক্ষিতের হারের ব্যাপারে ওইসিডির বিশেষজ্ঞরা বলেন, কানাডার
অভিবাসন নীতিমালায় কেবল উচ্চ শিক্ষিতদের প্রাধান্য দেয়া হয়। এ কারণে পৃথিবীর
বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছরই চিকিৎসক, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, কৃষিবিদ, শিক্ষক
ও ব্যাংকারেরা অভিবাসনের সুযোগ পাচ্ছেন। কানাডার উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে এ
অভিবাসীরাই বড় একটি অংশ। এ ছাড়া ক্যাবচালক, নিরাপত্তাকর্মী ও
কারখানার শ্রমিকদের বেশির ভাগই উচ্চ শিক্ষিত। অনেকেই ডক্টরেট ডিগ্রিধারী!
===========
===========


বিশ্ব
চলচ্চিত্র
উৎসব
এবং
বাংলাদেশের হৃদয়
===========
আগামী ২১শে আগষ্ট শুরু হয়ে যাচ্ছে মন্ট্রিয়ল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৪। বারো দিনব্যাপী এ উৎসবে সাইফুল ওয়াদুদ হেলাল পরিচালিত ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ প্রামাণ্যচিত্রটি অনুষ্ঠিতব্য উৎসবে স্থান পেয়েছে। উৎসবে ‘বিশ্বের প্রামাণ্যচিত্র’ বিভাগে নির্বাচিত ৩৪টি প্রামাণ্যচিত্রের মধ্যে একটি ‘বাংলাদেশের হৃদয়’। ৭৪টি দেশ থেকে সর্বমোট ৩৫০টি ছবি এবছর উৎসবে প্রদর্শিত হবে ডাউন টাওন মন্ট্রিয়লের মোট ৩টি ভেন্যূর ১৯টি পর্দায়।
জন্মলগ্ন হতেই এই
উৎসব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের উপর জোর দিয়ে এসেছে। মূল লক্ষ্য হলো জাতিতে জাতিতে
সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি, নতুন ধারার
ছবি নির্মানের পৃষ্ঠপোষকতা, এবং সর্বপোরী নতুন প্রতিভা
আবিষ্কার।
উল্লেখ্য, মন্ট্রিয়ল চলচিত্র উৎসব বরাবরই ‘বাংলাদেশের হৃদয়ের’
মতো নতুন, সৃষ্টিশীল কাজগুলি অনুপ্রাণিত করে
এসেছে। প্রামাণ্যচিত্র ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত নির্মাতা সাইফুল ওয়াদুদ হেলাল হাজির হবেন এবছরের
মন্ট্রিয়ল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৪ এ। এর আগে ২০০৫ এ উৎসবের ২৯তম আসরে নির্মাতার
প্রথম প্রামাণ্যচিত্র ‘বিশ্বাসের রঙ’ উৎসবে
নির্বাচিত ও প্রশংসিত হয়।
‘বাংলাদেশের
হৃদয়’ ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনের সময় ঢাকায় নির্মিত হয়
এবং ঢাকাসহ বাংলাদেশের অনেক শহরে প্রদর্শিত হয়। হৃদয় নামের একটি ১০ বছরের শিশু
এই চলচিত্রের কেন্দ্র। শাহবাগ গনজাগরণের উত্তাল দিনগুলিতে নির্মাতার ক্যামেরা ঘুরে
ফিরেছে হৃদয়ের পিছনে পিছনে। বাবা মা
হৃদয়কে মাদ্রাসায় ভর্তি করতে চেয়েছিল। কিন্তু দশ বছরের হৃদয় বাবা মাকে ফাঁকি
দিয়ে চলে আসতো শাহবাগে, গনজাগরণের অংশ হতে।
এবারে মন্ট্রিয়ল চলচ্চিত্র
উৎসবের আটত্রিশতম আসরটি উৎসর্গ করা হয়েছে অধুনাপ্রয়াত নন্দিত সাহিত্যিক
গ্যাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। মার্কেসের অবিসংবাদীত
মানবতাবাদী প্রতিভা, দক্ষিণ আমেরিকার মানুষের
জীবনের শক্তিশালী বয়ান এবং যাদু বাস্তবতা শুধু তাঁর সাহিত্যিক বন্ধুদেরই প্রভাবিত
করেনি, এমন বহু ল্যাটিন আমেরিকান সিনেমা নির্মাতাদেরও
প্রভাবিত করেছে যাঁদের ছবি মন্ট্রিয়ল চলচিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। এবছর একুশে
অগাস্ট থেকে শুরু করে পহেলা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ট্রিয়লবাসীরা ১০০টি নতুন ছবির
আন্তর্জাতিক অভিষেক প্রদর্শনী এবং ৩২ টি ছবির উত্তর আমেরিকান অভিষেক প্রদর্শনী
দেখতে পাবেন। উত্তর আমেরিকায় মন্ট্রিয়ল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালই একমাত্র FIAPF
(International Federation of Film Producers Associations) অনুমোদিত
প্রতিযোগিতামূলক ফেস্টিভ্যাল। এবারের উদ্বোধনী ছবি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে
খ্যাতনামা ফরাসী পরিচালক ক্লদ লেলচের সাম্প্রতিকতম ছবি "Salaud, on
t’aime (We Love You, You Bastard)"। শেষ
হবে পহেলা সেপ্টেম্বর, নন্দিত পরিচালক এলেইন
রেস্নেইসের সর্বশেষ ছবি "Aimer, boire et chanter (Life of Riley)” প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। এবারের উৎসবের জুরি প্রধান হিসেবে সম্মানিত
হয়েছেন প্রখ্যাত ইতালিয় চলচ্চিত্র তারকা সারর্জিও ক্যাস্তালিতো। এবারকার উৎসবের
দৃষ্টি নন্দন পোস্টারটির নকশা করেছেন বিশ্বখ্যাত বলিভিয়ান শিল্পী মার্কো
টক্সিকোস।
আগামী ২৩ ও ২৪ আগষ্ট
শনি ও রবিবার উৎসবের অন্যতম ভেনূ মন্ট্রিয়লের কম্লেক্স ওডিয়ন কার্টিয়ে লাতিন
সিনেমা কম্লেক্সে পর পর দুই দিন সাধারন
দর্শকদের জন্য প্রামাণ্যচিত্র ‘বাংলাদেশের হৃদয়’এর দু’টি প্রদর্শনী হবে। এছাড়া
মার্শে দূ্য সিনেমা বা চলচ্চিত্র বাজারে উৎসবের ১২ দিনই অন্নান্য চলচ্চিত্রের মত
চলচ্চিত্র সংস্লিষ্ট পেশাদারদের জন্য ‘বাংলাদেশের
হৃদয়’ অন ডিমান্ডে দেখার ব্যবস্থা থাকবে।=================
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর
রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ ১৫ আগষ্ট কানাডার
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাই-কমিশন এক দোয়া-মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত ও আলোচনা সভার
আয়োজন করে।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই
কমিশনার কামরুল আহসান অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিত করার মাধ্যমে
জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচি শুরু করেন। জাতীয় প্রতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও
বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগষ্টের সকল শহীদের প্রতি শোকাহত চিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক
মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ সময় বাংলাশেদ হাই কমিশনে নিযুক্ত সকল
কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং অটোয়ায় বসবাসরত বিশিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত
ছিলেন।
এরপর বাংলাদেশ হাই-কমিশন চ্যান্সারী
ভাবনে দোয়া-মাহফিল ও মোনাজাত এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের হাই-কমিশনার
কামরুল আহসান, মিশনে কর্মরত কূটনীতিক, স্টাফ
মেম্বার এবং অটোয়া, মন্ট্রিয়েল ও টরেন্টোসহ কানাডার বিভিন্ন
স্থান থেকে আগত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বিশিষ্ট প্রবাসীগণ এতে অংশ গ্রহণ করেন।
সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর
রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ ৭৫-এর সেই কালো রাতের শহীদানের আত্মার
মাগফিরাত কামনা করা হয়। কোরআন থেকে তেলওয়াত, দোয়া ও মোনাজাত
পরিচালনা করেন হাইকমিনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান সিরাজ।
জাতীয় শোক দিবসের আলোচনার শুরুতেই
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ
করেন যথাμমে মিশনের কাউন্সিলর নাহিদা রহমান সুমনা, কাউন্সিলর ইশরাত জাহান আহমেদ ও প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) দেওয়ান মাহমুদ। এর
পরপরই বক্তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, ত্যাগ ও তাঁর সোনার বাংলা
গড়ার স্বপড়ব নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা কালে তাঁরা বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির মুক্তির
সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং বলেন একমাত্র বঙ্গবন্ধুর
অপরিসীম সাহস, দূরদর্শীতা এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বই বাঙ্গালি
জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে
বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্টিত করে। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই
কমিশনার কামরুল আহসান তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ৩৫
বছর পর জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডে জড়িত ঘাতকদের
বিচার সম্পনড়ব হলেও এ হত্যাকান্ডের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকরীদের বিচার এখনো হয়নি,
এমনকি তাদেরকে চিহ্নিত পর্যন্ত করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত খুনি যারা এখনো বিদেশে পালিয়ে রয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে
নিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করতে সরকার সর্বোচ্চ কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে
সরকারের এই উদ্যোগের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা সংশ্লিষ্ট দেশের স্ব-স্ব
নির্বাচনী এলাকার জন-প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ঐ রাষ্ট্রসমূহের সরকারের উপর চাপ
প্রয়োগের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পালাতক খুনিদেরকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াকে বেগবান করতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন এবং সেই লক্ষ্যে
প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানান। মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক
উনড়বয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, তাঁর ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’
কে সামনে রেখে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে
তাতে বাংলাদেশ ২০২১ সালের আগেই একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হতে পারবে।
পরিশেষে ১৫ আগষ্টের শোককে শক্তিতে
রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপে গড়ার সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আত্ম নিয়োগের আহবান
জানানো হয়।=======
গাজায় হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দায় উদীচী কানাডার
ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ মানুষের উপর
ইসরাইলি বাহিনীর এক তফরা নির্বিচারে অবিরাম বোমা হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ
প্রকাশ করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী কানাডা শাখা। সংগঠনের সভাপতি দীনা সাইয়েদ
ও সাধারণ সম্পাদক সৌমেন সাহা এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, স্কুল, কলেজ, যুদ্ধাহতদের
আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যন্ত হামলা এবং নারী, শিশু, যুবকসহ সকল শ্রেণীর বেসামরিক মানুষের এই
বিবেকহীন হত্যাকান্ডের বিগত দুই সপ্তাহের অধিককাল ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার
বোমাবর্ষণে নিহতের তালিকা এক হাজার পার হয়ে গেছে।
তাই, একটি সার্বভৌম অঞ্চলের
মুক্তিকামী মানুষের মুক্তিসংগ্রামকে স্তব্ধ করার এই ইসরাইলি হীন প্রয়াস ও
ন্যাক্কারজনক হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি জোর আহ্বান
জানান। এছাড়াও তারা সকল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবতাবাদী সংগঠনকে রাস্তায় নেমে
এই বর্বর হত্যাকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান জানান।
এদিকে কানাডার বিভিন্ন শহরে চলছে গাজায়
হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা।===========
কানাডা তৃতীয়
----------------
বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে দীপান্তরে পাঠানোর দাবি জানাবে প্রবাসী বাঙালিরা
টরোন্টোতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কার অথবা দ্বীপান্তরে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে দেশটিতে অবস্থানকারী প্রবাসী বাঙালিরা। স্বঘোষিত এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই খুনির অবৈধ অবস্থান কানাডার জন্য দুঃখজনক।
আগামী ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশের উদ্যোক্তা বিপুল কামাল ইত্তেফাককে জানান, তারা ইটোবিকস্থ নূর চৌধুরীর ফ্ল্যাটের সামনে প্রতিবাদ করে কানাডা সরকারকে এই দাবি জানাবে। সমাবেশে দেড় হাজার মানুষের সমাবেশ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এতে ওন্টারির প্রিমিয়ার ক্যাথিলেন ওয়েন, সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং উত্তর আমেরিকার প্রবাসী বাঙালিদের নিমন্ত্রণ করা হবে।
আগামী ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশের উদ্যোক্তা বিপুল কামাল ইত্তেফাককে জানান, তারা ইটোবিকস্থ নূর চৌধুরীর ফ্ল্যাটের সামনে প্রতিবাদ করে কানাডা সরকারকে এই দাবি জানাবে। সমাবেশে দেড় হাজার মানুষের সমাবেশ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এতে ওন্টারির প্রিমিয়ার ক্যাথিলেন ওয়েন, সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং উত্তর আমেরিকার প্রবাসী বাঙালিদের নিমন্ত্রণ করা হবে।
আবেদ খান এখন
টরন্টোতে
বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং
কলামিষ্ট আবেদ খান এখন টরন্টোতে। প্রায় প্রতি বছরই কানাডায় আসেন ছেলে
আসাদ করিম খান প্রিয়’এর টানে। এই ফাঁকে কাটিয়ে যান অবকাশ। সাথে থাকে তাঁর স্ত্রী সানজিদা
আখতার।
তাঁদের এক মাত্র ছেলে প্রিয় ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো থেতে অর্থনীতিতে পড়াশোনা
শেষ করে পিএইচডি অর্জন করেছে! এবার প্রিয়’র দেশে ফেরার পালা।
কানাডায় আনন্দঘন পরিবেশে পবিত্র ঈদ
কানাডায় মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব
আজ ২৮ জুলাই সোমবার পালিত হচ্ছে। টরন্টো নগরীতেও সেই আনন্দঘন পরিবেশে পবিত্র ঈদুল
ফিতর উদযাপন চলছে। টরন্টোস্থ বাংলা পাড়ার ডেনটোনিয়া পার্কের খোলা আকাশের নিচে সকাল
১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও ঈদের আমেজে প্রবাসী বাঙালিরা ড্যানফোর্থের
বায়তুল মোকারম,
বায়তুল আমান মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে।
আগামীকাল টরন্টোতে ঈদ
আগামীকাল ২৮ জুলাই সোমবার টরন্টোতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। টরন্টোস্থ বাংলা পাড়ার ডেনটোনিয়া পার্কের খোলা আকাশের নিচে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আর ড্যানফোর্থের বায়তুল আমান মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়, ৮টায়, ৯টায় এবং সাড়ে ১০টায়।
* তথ্যসূত্রঃ বেঙ্গলি টাইমস ডটকম
--------------
গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ প্রতিবাদে কানাডায় বিক্ষোভ

উল্লেখ্য, দু'সপ্তার মাঝে আজ তৃতীয় বারের মতো কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ফিলিস্তিনের
মানুষের জন্য রাজপথে নেমেছিল অনেকেই। এসে ছিল কানাডার আদিবাসী এক কবি। তিনি শোনালেন
ভূমির গল্প। কেমন করে তাদের ভূমি হারালেন, ভাষা হারালেন সেই ইতিহাস।
সংহতি নিয়ে তিনি বললেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের ভাষা হারাবে না।
ফিলিস্তিনি মানুষ তাদের ভূ্মি হারাবে না। এদিকে মন্ট্রিয়লে পঞ্চমবারের মত প্রতিবাদের
প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ছবিঃ সাইফুল ওয়াদুদ হেলাল
........ছবিঃ সাইফুল ওয়াদুদ হেলাল
সালিম সামাদ লন্ডনস্থ দূতাবাসে প্রেস মিনিষ্টার হলেন
সাংবাদিক সালিম সামাদ লন্ডনস্থ হাই কমিশনে
প্রেস মিনিষ্টার পদে নিয়োগ পেয়েছেন বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। তা নিয়ে সাংবাদিক মহলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, তিনি তাঁর পদ মর্যাদা রক্ষা করতে পারবেন?
উলেক্ষ্য, তিনি দীর্ঘদিন কানাডায় ছিলেন। পাঁচ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে ২০১০
দেশে ফিরে যাবন। ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর যুক্তরাজ্যভিত্তিক চ্যানেল ফোর-এর দুই
সাংবাদিকসহ সালিম সামাদ ও প্রিসিলা রাজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার
হন। ২৫ ডিসেম্বর ২০০২ থেকে ১৮ জানুয়ারি
২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রায় দু’মাস হাজতবাসের পর হাইকোর্টের রায়ে তিনি মুক্তি পান।
মুক্তির পর ২০০৪ সালের অক্টোবরে সপরিবারে কানাডায় নির্বাসনে চলে আসেন। বর্তমানে তার স্ত্রী এবং এক মাত্র ছেলে টরন্টোতে বসবাস করছেন।
শওকত ওসমানের কন্যা আনফিসার ইন্তেকাল
কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানে মেয়ে
টরন্টো প্রবাসী আনফিসা ওসমান লাইলী (৬২) আর নেই। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত
থাকা অবস্থায় গত শনিবার তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ... রাজেউন)। তিনি
স্বামী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, তার ছোট ভাই
ইয়াফেস ওসমান বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী। অপর ৩ ভাই হচ্ছেন—লেখক বুলবন ওসমান, নির্মাতা জানেসার ওসমান এবং
প্রকোশলী আশফাক ওসমান। আনফিসা ওসমান লাভলী নিজেও লেখালেখির সাথে জড়িত ছিলেন।===============
কানাডার তিনটি সেরা বিশ্ব বিদ্যালয়

বিশ্বের সেরা ১০০ বিশ্ব বিদ্যালয়ের কানাডায় স্থান পেয়েছে তিনটি। ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো (তালিকা ৩১/ র্যাঙ্ক ১), ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি (তালিকা ৪২/ র্যাঙ্ক ২), ইউনিভার্সিটি অফ বৃটিশ কলোম্বিয়া (তালিকা ৬১/ র্যাঙ্ক ৩)।
এ তালিকা তৈরির জন্য প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিষয় বিবেচনা করেছে তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার মান, শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি, শিক্ষকদের যোগ্যতা, প্রকাশনা, গবেষণার প্রভাব, গবেষণার মান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব ও পেটেন্টের সংখ্যা। এ র্যাংকিং অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান করে নিয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড ইউনিভার্সিটি।
==============
আর্জেন্টিনায় পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস প্রয়োজনঃ কানাডাস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনার

কামরুল আহসান বলেন, মেক্সিকোর চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ
ছিল আর্জেন্টিনাতে বাংলাদেশ মিশন চালু করা। কাগজে-কলমে অটোয়া থেকে কাজ করতে হলেও
বাস্তবে রীতিমতো ঝুলে আছে আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। বেঙ্গলি
টাইমস থেকে জানা যায়, আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হলে আইটি ও এগ্রিকালচার
সেক্টর এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় পাতাগোনিয়ার বিশাল ফিশিং সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে বৈধ
জনশক্তি রফতানির উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি দেশটিতে বহুগুণে
বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য। এছাড়াও বাংলাদেশে তৈরি সিরামিক, প্লাস্টিক ও মেলামাইন সামগ্রীর
পাশাপাশি গার্মেন্টস সামগ্রীর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
এদিকে কানাডার টরন্টোতেই কনসুলার অফিস খোলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দাবি জানিয়ে আসছেন।
এদিকে কানাডার টরন্টোতেই কনসুলার অফিস খোলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দাবি জানিয়ে আসছেন।
----------------
কানাডিয়ান পুলিশকে মাহমুদুর রহমানের
লিগ্যাল নোটিশ
*দৈনিক মানবজমিনের সৌজন্যে
============
গত ৫ জুলাই শনিবার টরন্টোর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ইকবাল রোশদের সন্তান ইউসুফ
রোশদ এর নামে টরন্টোর বাংলাদেশ সেন্টারের একটি রুমের নামকরণ করা হয়।
টরন্টোর বাংলাদেশ সেন্টারকে গত কয়েক বছর যাবৎ
ইকবাল রোশদ আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। আগামীতেও সর্বাত্মক সহযোগিতা করার
অঙ্গীকার করেছেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে বাংলাদেশ সেন্টারের বর্তমান কমিটি এই
সিন্ধান্ত নেয় এবং টরন্টোর কয়েকজন বিশেষ ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে এই আনুষ্ঠানিকতা
সম্পন্ন করে। এই অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেন্টার এর
প্রেসিডেন্ট হাসিনা কাদের, লিবারেল পার্টির প্রাক্তন এমপি মারিয়া মিন্নাহ, ইকবাল রোশদ এবং মিউজিকে তিনবার
স্বর্ণপদক বিজয়ী নতুন প্রজন্মের তারকা ইউসুফ রোশদ। ইউসুফ তাঁর জীবনের বিশেষ কিছু
অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। সকল প্রকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোশদ পরিবার উপস্থিত সকলের
সাথে বাংলাদেশ সেন্টার আয়োজিত বিশেষ ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ করেন
*বেঙ্গলি টাইমসের সৌজন্যে
====
কানাডার পুলিশ মোরশেদ খান আর মাহমুদুর রহমানকে
জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়

উল্লেখ্য, তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে
নাইকো দুর্নীতির মামলা পরিচালনায় বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ থাকলেও
কানাডায় এ ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। নাইকোর এ কেলেঙ্কারির ফাঁস হলে বিষয়টি
ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এবং তৎকালীন জোট সরকার এ অভিযোগের কারণে প্রতিমন্ত্রী
মোশাররফ হোসেনকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।
এদিকে কানাডার একটি কোম্পানি সে
দেশের আদালতে এই মর্মে স্বীকারোক্তি দেয় যে, জয়েন্ট ভেঞ্চার চুক্তি
বাস্তবায়ন এবং গ্যাস উত্তোলন সংক্রান্ত কাজ পাইয়ে দিতে সাবেক জ্বালানি
প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনসহ তিন জনকে তিন কোটি টাকা ঘুষ দেয়া হয়। সাবেক
প্রতিমন্ত্রীকে একটি গাড়িও উপহার দেয়া হয়। এ স্বীকারোক্তির পর কানাডার আদালত
নাইকোকে ৯৫ লাখ ডলার জরিমানা করে।
কানাডা মনে করছে, এর পেছনে মোরশেদ
খান আর মাহমুদুর রহমানের হাত ছিলো। তাই এ দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নতুন
তথ্যের প্রত্যাশা করে।============
কানাডার এক নাগরিকও টিপুর পর্নো ছবির খরিদদার ছিলো
ধীর্ঘ নয় বছর ধরে পথশিশুদের দিয়ে
পর্নো ছবি তৈরি করে ইন্টারনেটে পে-ওয়েবসাইটে বিক্রি করে আসছেন শিশুসাহিত্যিক টি
আই এম ফখরুজ্জামান ওরফে টিপু কিবরিয়া। তিনি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি পর্নো ছবি তৈরি করে জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের তিন ব্যক্তির কাছে
পাঠাতেন। এঁদের একেকজনের কাছ থেকে প্রতি মাসে তিনি ৫০ হাজার করে দেড় লাখ টাকা
পেতেন। আর যেসব শিশুকে নিয়ে তিনি পর্নোগ্রাফি করাতেন, তাদের
প্রত্যেককে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা করে দিতেন।
তদন্তে জানা গেছে, টিপু কিবরিয়া তাঁর তৈরি পর্নো ছবি ১৩টি দেশের ১৩ জন নাগরিকের কাছে
পাঠাতেন। এসব বিদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে আছে কানাডা,
জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, মধ্য
ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ।
জবানবন্দিতে টিপু কিবরিয়া জানান, ছবি তোলার কথা বলে বা ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে কমলাপুর, সায়েদাবাদ, সদরঘাটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে
পথশিশুদের মুগদার স্টুডিওতে নিয়ে আসতেন তাঁর দুই সহযোগী নুরুল আমিন ও নুরুল
ইসলাম। তারা পেতো ২/৩ হাজার টাকা।
সেই তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, টিপু কিবরিয়া একটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি গড়ে তোলেন। মূলত এর আড়ালে তিনি
২০০৫ সাল থেকে ছেলে পথশিশুদের দিয়ে পর্নো ছবি নির্মাণ ও ইন্টারনেটে বিদেশে
পাঠানো শুরু করেন।
১৯৯১ সাল থেকে ১০ বছর তিনি সেবা
প্রকাশনীর কিশোর পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে ফ্রি-ল্যান্স
আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার প্রকাশিত ছড়ার বইও রয়েছে।...........
টরন্টোতে সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র নিয়ে রেট্রোস্পেক্টিভ
সাইফুল ওয়াদুদ হেলাল
.jpg)
* The Sun and the Moon: The
Films of Satyajit Ray (July 3 – August 17)
* Satyajit Ray Roundtables
& Talks (July 11 – 18)
* Passages to India: India
Seen by Outsiders (July 5 – 27)
বিস্তারিত জানতে: http://tiff.net/satyajit-ray==============
আজ কানাডা ডে

-------------

“One hundred and fifty
years ago in Charlottetown and Québec City, our Fathers of Confederation first
dreamed of a united Canada, prosperous, strong and free.
“As we mark the 147th anniversary of Confederation, we can proudly say that
their great national dream has indeed come to fruition.
“Today, as we celebrate
with family and loved ones, let’s remember what makes our Canada the best
country in the world.
“It’s the moms and dads who
pass on to their children Canadian values: working hard, doing what’s right,
and determination to be our best.
“All Canadians cheered as
we saw these values drive our athletes to victory at the 2014
Olympic and Paralympic Winter Games.
“These values are also
represented by our men and women in uniform who keep our streets and loved ones
safe, and by those proud members of the Canadian Armed Forces who vigorously
defend our rare and precious way of life.
“The members of our
military have always been willing to give their lives to protect our freedom,
promote our values and pursue peace.
“This year they mark
special milestones: the 100th anniversary of the beginning
of the First World War, the 75th anniversary of the
beginning of the Second, and the end of Canada’s military mission to
Afghanistan, which we honoured across the country in May.
“Let their legacy in
service of Canada inspire us to work harder than ever to continue to build our
true North, strong and free.
“On behalf of the
Government of Canada and from my family to yours, happy Canada Day everyone.”
==============================
টরন্টো ফ্রিঞ্জ
থিয়েটার ফেস্তিবেলঃ
‘ড্রিমস অব সামার এন্ড’ নাটকের মূল চরিত্রে বাংলাদেশের মেয়ে নির্ঝুম

কি ভাবে এলো? সাড়ে চার বছর বয়সে স্কুলে
ভর্তি হয়েই বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় লাল ঝুঁটি কাকাতুয়া গান আর দোল দোল
দলনি নাচ প্রতিযোগীতা করে সিনিওর মেয়েদের হারিয়ে পুরস্কার কেড়ে নেয়া সেই নির্ঝুম
তার সাংস্কৃতিক জীবনের সুউচ্চ সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে তার দিগন্ত পদচারণায় যাত্রায় এবারের
পদক্ষেপ টরন্টো ফ্রিঞ্জ থিয়েটার ফেস্তিবেলে।
৩/৪ বছর বয়সে মা খালাদের হাতেই সা রে
গা মা র হাতে খড়ি। সেই সিলেটে ঘরে মা খালারা বন্ধুদের নিয়ে গানের আসর করতেন, সেখানে নির্ঝুম নাচ নাচ খেলত, আবার খালাদের সাথে
সাথে শিশু নির্ঝুমের সবসময় যাতায়াত ছিল সিলেটের প্রান্তিক সাহিত্য সংস্থায় যেখানে
তার মা খালারা সংস্কৃতি চর্চা করতেন। সেখানে প্রান্তিক সংগীত বিদ্যালয়ে একদিন
নাচের ক্লাসে খালামনির হাত থেকে ছুটে গিয়ে শিশু নির্ঝুম টেবিলের উপরে উঠে ‘ধা ধিন ধিন ধা, না থিন খিন তা’...সেদিন ক্লাস শিক্ষক তাকে কুলে তুলে আদর দিয়ে বলেছিলেন, বাহ!
পরে চিটাগাং ষ্টীলমিলস স্কুলে
নার্সারি ক্লাসে তাকে ভর্তি করা হল, সেখানে ভর্তি হয়ার পর পরই সে
নিজে থেকেই ক্লাস শিক্ষকের ইচ্ছায় বার্ষিক
সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় নাম দেয়, এতাও বলতে গেলে তার নাচ
নাচ খেলার অংশ এবং ক্লাস শিক্ষকের সখ বলা যায়। পরে ক্লাস শিক্ষকের অনু্রোধে মা
তাকে প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করে দেন। সেই দিন নির্ঝুম প্রায় ২৫ জন সিনিয়র প্রতিযোগীকে
হারিয়ে নৃত্য প্রতিযোগিতায় জিতে পুরস্কার নিয়ে ঘরে ফিরে!
৬ বছর বয়সে পরিবারের সাথে নির্ঝুম
ঢাকার উত্তরায় পাড়ি জমায়। স্কুলের পাশাপাশি উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার শ্রী সত্য
শাহার সঙ্গীত বিদ্যালয় গিতাওয়নে গানের ক্লাসে নির্ঝুমকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সত্য
জির স্ত্রী শ্রী রমলা জি ই আবিস্কার করেন যে নির্ঝুম নৃত্য প্রতীভায় অভিনব
পারদর্শী। রমলা জি তাকে একটি প্রগ্রামে নাচ করতে ডাকেন, এবং পরে তিনি নিজের খুশিতে নির্ঝুমকে নাচের শিক্ষক রেখে দিয়ে তার স্কুলে
নাচের বাতিল শাখাতি আবার খুলে দেন এবং বলেন, ‘নির্ঝুমের জন্য
আলাদা বেতন লাগবে না’...। সেই থেকে নির্ঝুমের নাচের যাত্রা শুরু, তবে নির্ঝুম আসলে গান করবে না নাচ করবে তা নিয়ে এক টানা পোড়ন তৈরি হয়।
এই ভাবেই শিবলী মুহাম্মদের কাছে
কত্থকের তালিম, বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতে ভর্তি... এভাবেই কিছুদিনের মধ্যে সে
গুরুর প্রিয় ছাত্রী হয় উঠে। এবং সামনে এগুতে থাকে। শিশু শিল্পী হিসাবে ঢাকা
শিল্পকলা একাডেমী, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ
নৃত্যাঞ্চলসহ আরো বিভিন্ন প্রতিস্তানে নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে ঢাকার নৃত্য জগতে
বিচরণ করার সাথে সুনাম কুড়ার।
এদিকে গানের জন্য ওস্তাদ খালিদ হোসেন, ইয়াকুব আলির কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সান্নিধ্যে সঙ্গীতের তালিম নিবার
সৌভাগ্য ও অর্জন করে। তার নাচের শিক্ষক শিবলি মহাম্মদ তার মাথায় হাত রেখে দুয়া
করতেন, “মাশাল্লাহ নির্ঝুম বর হয় অনেক বড় নৃত্য শিল্পি হবে”। আর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের শিক্ষক জাকির হুসেন বলতেন, “তোমার
গানের প্রতিভা ঈশ্বর প্রদত্ত, কখনো গান ছাড়বে না”। তাই একটা দন্ধ
চলতেই থাকে যে নির্ঝুম কোনটা রাখবে কোনটা ছাড়বে।
এদিকে ২০০১ সালে ষষ্ট শ্রেণীত ঢাকা
ধানমণ্ডি গার্লস হাই স্কুলে ভর্তি হয়ে বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় নির্ঝুম
যথাক্রমে সাধারন নৃত্য, উচ্চাঙ্গ নৃত্য, রবীন্দ্র
সঙ্গীত, আধুনিক গান, অভিনয়ে প্রথম
স্থান অধিকার করে বিশেষ ছাত্রীর মর্যাদা লাভ করে। কিন্তু পুরস্কার না নিয়ে ই
নির্ঝুম ২০০১ সালের মে মাসে সাত সাগর তেরো নদী পাড়ি দিয়ে কানাডায় পাড়ি দেয়!
টরন্টোতে এসে জুন মাসেই ৯ তারিখে ৯
ডয়েস রোডে অনুষ্ঠান, পরে পহেলা জুলাই কানাডা ডে উপলখ্যে ডেনফোর্থস্থ ঘরোয়া
প্রাঙ্গনে হলুদ গাঁদার ফুল নাচ দেখিয়র দর্শক প্রিয়তা অর্জন করার মাধ্যমে কানাডার
ভুবনে নির্ঝুমের সাংস্কৃতিক যাত্রার সূচনা হয়।
তারপর আর পিছনে তাকানোর সময় হয়নি
নির্ঝুমের... একে একে বাংলাদেশ কানাডিয়ান সার্ভিস, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্টী,
বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং এসোসিয়েশন অব অন্টারিও, দুর্গা পূজা,
বাংলামেলা, বৈশাখী মেলা, বাংলা টি ভি কানাডা, দেশি
টেলিভিশনসহ প্রচুর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তার সাংস্কৃতিক প্রজ্ঞাকে প্রসারিত করার
সৌভাগ্য অর্জন করে।
তারপর একে একে খুলে যায় নির্ঝুমের
পুরস্কার জয় করার দার খুলে। বার্চমাউন্ড পার্ক কলেজিয়েট স্কুলে মিউসিক এওয়ার্ড, কানাডা গভর্নমেন্ট ভলন্তিয়ারিং এওয়ার্ড, এবং ২০০৫ এ ফোবানা
কম্পিটিশনে (Federation of Bangladeshi Association of North America) মিস ফুবানা টাইটেল অর্জন করে। নির্ঝুম আবার মিস ওয়ার্ল্ড কানাডা ২০১২ এর
প্যাজেন্ত কম্পিটিশন এ অংশ নিয়ে ভরত নাত্ত্যম নৃত্য প্রদর্শন করে টপ ট্যালেন্ট টেড
এওয়ার্ড নিয়ে টপ টেন হয়।
এদিকে বাঙালি কমিউনিটির সংস্কৃতি
জগতে বিচরনের পাশাপাশি নির্ঝুম ওস্তাদ মুন্সি রইস উদ্দিনের পুত্র জনাব আলিমুজ্জামা্নের
‘আলম্পিয়া স্কুল অফ মিউসিক’ একাডেমীতে নিয়মিত
ক্লাসিকেল গানের উপর তালিম নেয়।
তার পাশাপাশি ২০০৮ হতে কানাডায়
নিয়মিত প্রদাকশন ওয়ার্কার হিসবে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন শহরে Ottawa,
Montreal, Prince Edward Island, and Guelph Contemporary Dance Festival প্রভিন্সে অসংখ্য নৃত্যআলখ্যে বা নৃত্যনাট্যেও কাজ করছে।
এ ভাবেই সে কানাডার মেইন ষ্টিমে কাজ
করার সুযোগ অর্জণ করে। সেই স্বপ্নের ধারা ধরেই নির্ঝুম YTV-তে ‘How to be Indi’ TV show তে কাজ করে। এমন কি CTV
তে ‘সো
ইউ তিঙ্ক ইউ ক্যান ড্যান্স’ (So You Think You can Dance Canadaয়) competition করে চূড়ান্ত রাউন্ডে পৌঁছে ফিরে আসে।
সে ড্যান্স ড্রামা করতে করতে অভিনয়
শিখার জন্য ভর্তি হয় Toronto Academy of Acting for Film, Television and Theatre এ। পাশাপাশি অডিশন দিতে থাকে বিভিন্ন থিয়েতার কোম্পানিতে। তবে তার পূর্বে
নির্ঝুম Toronto University হতে Philosophy & Music এ অনার্সসহ গ্রেজুয়েশন
শেষ করে পারট টাইম নাচের পাশাপাশি ফুল টাইম হিশাবে প্রথমে ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং পরে
সিয়ারস কানাডার হেড অফিসে এডমিনিস্ট্রেশন এসিষ্টেন্ড হিসেবে কাজ করে। থিয়েটারে কাজ করা সুবাদে এবার নির্ঝুম
চাঞ্চ পেলো- টরন্টো ফ্রিঞ্জ থিয়েটার ফেস্তিবেলে। আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হবে
টরন্টো ফ্রিঞ্জ থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল। চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। শহরের ২৭টি ভ্যানুতে প্রায় ১৫০টি নাটক পরিবেশিত
হবে এই সময়। ডায়িং পিকচার কোম্পানি পরিবেশিত
‘ড্রিমস অব সামার এন্ড’ নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে
অভিনয় করবে বাংলাদেশের মেয়ে নির্ঝুম।
================================
মনিস রফিকের জন্মদিন
কাল পহেলা জুলাই কানাডা দিবস। কাল মনিস রফিকেরও জন্মদিন। প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মনিস রফিক এখন কানাডার অভিবাসী। যুক্ত হয়েছেন টরন্টোর সাপ্তাহিক আজকালের সাথে। সেই সাথে লিবারেল পার্টির কর্মী। লেখালেখি করেন চলচিত্র বিষয়ে। ইতোমধ্যে তার বেশ কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ বই বের হয়েছে। যেমন- গৌতম ঘোসের চলচিত্র, চলচ্চিত্র বিশ্বের সারথী, ক্যামারার পেছনে সারথি, ঋতিক ঘটকের তিতাস একটি নদীর নাম (চিত্রনাট্য), কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটক প্রভৃতি।
স্মরণীয় যে, ২০১১ সালের ৩ আগস্ট দুপুরে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ। সেদিন তিনি তাঁর নয়জন সহযাত্রীকে নিয়ে তাঁর স্বপ্নের ছবি কাগজের ফুল এর শ্যুটিং লোকেশন থেকে মাইক্রোবাসে ফিরছিলেন। শ্যুটিং মাইক্রোবাসটির দশ জনের মধ্যে পাঁচ জনকেই মৃত্যুর শীতল রাজ্যে চলে যেতে হয়।
বাংলাদেশের কিংবদন্তী চলচ্চিত্র নির্মাতা তারে মাসুদ এর কাগজের ফুল এর সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে পালন করছিলেন মনিস রফিক। দূর্ঘটনায় সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। পরে তিনি লিখেন- ‘তারেক মাসুদ : চলচ্চিত্রের আদমসুরত’ গ্রন্থটি।
----------------------------
তারা ছিলেন দেশের অমূল্য সম্পদ
গত শনিবার টরন্টোস্থ ড্যানফোর্থের
সিজলিং তন্দুরী রেষ্টুরেণ্টে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক
সরদার ফজলুল করিমের মৃত্যু উপলক্ষ্যে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এক মিনিট নীরবতা
পালনের মধ্য দিয়ে এই স্মরণসভা শুরু হয়। এই স্মরণসভায় সভাপতিত্ত্ব করেন সংগঠনের
যুগ্ম আহ্বায়ক বিদ্যূৎ রঞ্জন দে। সভায় সরদারের জীবন ও দর্শন এবং ঘটনা বহুল বিপ্লবী
জীবনের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন টিটো খন্দকার। এছাড়াও আরো আলোচনা করেন বাংলা
একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মাদ শাহেদ, আজিজুল মালিক, নাসির-উদ-দুজা প্রমুখ।
অপর দিকে গত ২৯ জুন, রোববার বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত মন্ট্রিয়লের প্রাক্তন ইমিগ্রেশন সেন্টারেও আয়োজন করা হয়। এতে সরদার ফজলুল করিম ছাড়াও জাতীয় অধ্যাপক ও বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. রঙ্গলাল সেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি হাবিবউল্লাহ বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তারা বলেন, এঁরা ছিলেন দেশের সম্পদ।
অপর দিকে গত ২৯ জুন, রোববার বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত মন্ট্রিয়লের প্রাক্তন ইমিগ্রেশন সেন্টারেও আয়োজন করা হয়। এতে সরদার ফজলুল করিম ছাড়াও জাতীয় অধ্যাপক ও বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. রঙ্গলাল সেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি হাবিবউল্লাহ বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তারা বলেন, এঁরা ছিলেন দেশের সম্পদ।
এ দিকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী
কানাডা শাখা বালাদেশের আজন্ম অসাম্প্রদায়িক ও শোষণহীন সমাজের দ্রষ্টা লেখক ও
দার্শনিক অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
-----------------

তিন
লেখক অবসর কাটাচ্ছে কানাডার
টরন্টোতে
টরন্টোতে
আমাদের অনেক লেখক সাংবাদিকদের ছেলেমেয়ে কানাডার অভিবাসী। সেই সূত্রে আসাদ চৌধুরী, মহাদেব সাহা, রফিক আজাদ, আবেদ খান, হাবিবুল্লাহ সিরাজী, রণজিত বিশ্বাস, ফারুক মঈনুদ্দিন, প্রজ্ঞা লাবনী, শাহেদ রহমান, শাহজাদী আঞ্জুমানারা এবং আরো অনেকেই ছুটে আসেন সন্তানদের কাছে।
.jpg)
আবার কয়েক জন লেখক অবসর কাটাচ্ছে কানাডার টরন্টোতে। তারা হলেন- বিশিষ্ট লেখক বোরহানউদ্দিন খান জাহাজ্ঞীর, বাংলা একাডেমীর সাবেক মহা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, গ্রন্থ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ফজলে রাব্বী।
তারা এখন কেউ কেউ কানাডার নাগরিকত্বের জন্য অপেক্ষা করছেন।
------------

সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেতের নায়িকা
ববিতা এখন কানাডার কিচনারে। তিনি এ মাসের শেষে ছেলেকে দেখতে এসেছেন। জুনের শেষে
নিউ ইয়র্ক হয়ে দেশে ফিরবেন।
তিনি সাত দিনকে জানান, এবার বড় বোন সুচন্দাসহ হজ্ব
করতে যাবেন। আগে অবশ্য, উমরা হজ্ব করেছেন।
-----------------
কানাডা সফরে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম
কানাডায় সফরে এসেছিলে। তিনি মন্ট্রিয়ল ঘুরে টরন্টো আসেন। তখন সিটি আওয়ামী লীগের
উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার ১৯ জুন তাঁকে টরন্টোতে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হুইপ ইকবালুর
রহিম বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত
করতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকার সর্বান্তঃকরণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুত উৎপাদন, প্রবৃদ্ধি অর্জন, মাথাপিছু গড় আয়, রেমিটেন্স প্রবাহ, জঙ্গি দমন, বিনামূল্যে
নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, স্বাক্ষরতার হার,
দারিদ্রতার হার কমানো, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক বিনিয়োগ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া, ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা, মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা,
জনশক্তি রপ্তানি, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক
মুদ্রার রিজার্ভ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইত্যাদিক্ষেত্রে
বর্তমান ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের বিপুল সাফল্যের বাস্তবচিত্র উপস্থিত সকলের কাছে
তুলে ধরেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত
ছিলেন টরন্টো সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদ আলী লিটন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হক, সহসভাপতি ইফতেখারুল
হাসান, মাহবুবুর রহমান, শেখ জসিম
উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা
সোহেল শাহরিয়ার রানা, যুগ্ম সম্পাদক রায়হান চৌধুরী, মো. মাসুদ তালুকদার, আওয়ামী লিগ নেতা ও কৃষিবিদ ড.
জোহা প্রমুখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানশেষে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।
========
গতকাল ২০ জুন পবিত্র শুক্রবার আহমদিয়া মুসলিম জামাত কানাডার বিশাল জলসা শুরু হয় ৬৯০০ এয়ারপোর্ট রোডস্থ মিসিসাগায়। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে তিন দিনব্যাপী ৩৮তম আহমদিয়া মুসলিম জামাত কানাডা ২০১৪ শীর্ষক বার্ষিক কনভেনশনে প্রথমে আহমদিয়া পতাকা এবং পরে কানাডা-এর পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এতে ৭ হাজার সদস্য অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও বক্তৃতা করেন ইসলামিক চিন্তাবিদ- লাল খান মালিক, মাওলানা মুবারক, নাজির আহমদ প্রমুখ। নভেনশননের প্রথম দিনে শুক্রবার জুম্মার নামাজ দিয়ে শুভ সূচনা কর হয়।
জালসায় পবিত্র কুরআন পাঠ, পরে কবিতা
আবৃত্তি এবং বক্তৃতাপর্ব চলে। এই নভেনশন চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।
---------------------------
টরন্টোতে হাইকমিশনের কনস্যুলার সেবা ২১ জুন
কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন
আগামী
২১ জুন শনিবার ড্যানফোর্থ-মেইন ইন্টারসেকশনের কানাডিয়ান টায়ারের বিপরীতে
২৬৭০ ড্যানফোর্থ এভিনিউর বাংলাদেশ সেন্টারে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত
কনস্যুলার সেবা প্রদান করবে।
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে
জানানো হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২.৩০ মিনিট পর্যন্ত সকল সার্ভিসের
জন্যে আবেদনপত্র জমা নেয়া হবে। নো ভিসা, ভিসা, পাসপোর্ট নবায়ন, এটাস্টেশন (জরুরী) সংক্রান্ত কাজ
ঐদিন সম্পন্ন করে বিকাল ৪ টায় ফেরত দেয়া হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যয়নপত্র ও
এটাস্টেশন ( সাধারণ) ঐদিন গ্রহণ করা হবে এবং পরবর্তীতে ডাকযোগে ফেরত পাঠানো হবে।
এক্ষেত্রে নিজ ঠিকানা সম্বলিত ফেরত খাম (এক্সপ্রেস পোস্ট) আবেদনপত্রের সাথে
সংযুক্ত করতে হবে। আর নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্যে আবেদনকারীকে স্বশরীরে
অটোয়া হাইকমিশন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।
পাঠকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন
সার্ভিসের ফি উল্লেখ করা হলো- নো-ভিসা-৬০ ডলার, ভিসা- ৮০ ডলার, ভিসা মাল্টিপল-১৫৮ ডলার, পাসপোর্ট নবায়ন জরুরী-১৭০
ডলার, পাসপোর্ট নবায়ন সাধারণ-১১৫ ডলার, নতুন পাসপোর্ট জরুরী ১৭০ ডলার, নতুন পাসপোর্ট সাধারণ
১১৫ ডলার, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যয়নপত্র সাধারণ ২৫ ডলার,
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যয়নপত্র জরুরী ৪০ ডলার, এটাস্টেশন সাধারণ প্রতি ৫ পাতা ২৫ ডলার, এটাষ্টেশন
জরুরী প্রতি ৫পাতা ৪০ ডলার, এন্ডোর্সমেন্ট জরুরী ২০ ডলার ও
এন্ডোর্সমেন্ট সাধারণ ১০ ডলার। এ সংক্রান্ত আরো তথ্য জানতে চাইলে ফোন করুন
৬১৩-২৩৬-০১৩৮, ৬১৩-২৩৬-০১৩৯, এক্সটেনশন-২২৯,
২৩০। আর ভিজিট করতে পারেন- www.bdhc.org.----------------
আহমদিয়া মুসলিম জামাত কানাডার জলসা


ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে অনুষ্ঠিতব্য তিন দিনব্যাপী আহমদিয়া মুসলিম জামাত কানাডা ২০১৪ শীর্ষক এই ৩৮তম ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।
জমজমাট জলসায় বিশ্বে সেরা ইসলামিক চিন্তাবিদসহ খ্যাতিমান ব্যক্তিরা অংশ নিবেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বন্দুকধারীর গুলিতে নির্মম ভাবে নিহত ডাক্তার মেহেদী আলী কামাররের (৫০) মৃত্যুতে কমিউনিটিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
http://www.dispatch.com/content/stories/local/2014/05/26/pakistan_doctor.html
---------
অন্টারিওর প্রথম মহিলা এবং লেজভিহাইন প্রিমিয়ার ক্যাথলিন
গত ১২ জুন অন্টারিওতে অনুষ্ঠিত হলো ৪১তম প্রাদেশিক পার্লামেন্ট নির্বাচন। এতে নেতৃত্বাধীন লিবারেল দল মোট ১০৭টি আসনের মাঝে ৫৯টি আসন জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনে সক্ষম হলেন অন্টারিওর প্রথম নির্বাচিত মহিলা প্রিমিয়ার ক্যাথলিন ওয়েন।
তিনি ১৪৭ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রিমিয়ার হওয়ার গৌরবটি অর্জন করলেন। উল্লেখ্য, ক্যাথলিন একজন লেজভিহাইন। নির্বাচন লিবারেল ৫৯ (ভোট ৩৮.৭%), প্রোগ্রেসিভ
কনজাভেটিভ ২৭ (৩১.২%) আর এনডিপি ২১(২৩.৭%)টি আসন পেয়েছে। ফলে
লিবারেল পার্টি পর্যাক্রমিক চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন
করলো।
----------------
বাংলাদেশ সেন্টারে ‘সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্স’এর সার্টিফিকেট প্রদান
গত শুক্রবার বাংলাদেশ সেন্টার ও
কমিউনিটি সার্ভিসেস (BCCS), নারীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন জন্য প্রথম ‘সেলাই
প্রশিক্ষণ কোর্স’এর সার্টিফিকেট অনুষ্ঠানিক ভাবে প্রদান করা হয়। কেন্দ্রের এই সফল
প্রোগ্রামটি কমিউনিটিতে বেশ ভালো সাড়া জাগায়।
জানা গেছে, BCCS ইতিমধ্যে আগস্ট প্রথম সপ্তাহ থেকে তাদের নাম নিবন্ধিত ছাত্র যারা তার
দ্বিতীয় ব্যাচের জন্য প্রোগ্রাম চলতে থাকবেন।
পরে এক চা চক্রের মাধ্যমে আনন্দঘণ অনুষ্ঠানের
সমাপ্তি হয়।---------------
কানাডার নাগরিকত্ব বেচা-কেনার আইন বাতিল

আমাদের কানাডা প্রতিনিধি জানান, পর্যালোচনা করে দেঙ্খা গেছে, বিদেশি ধনকুবের
কানাডার নাগরিক হওয়ার পর আর কোনো বিনিয়োগ করে না, এমনকি কোন করও দেয় না। কিন্তু তারা
কানাডার সকল সুযোগ সুবিধে নিচ্ছে।
যেমন, তাজরীন ফ্যাশনস গার্মেন্টসের ১১১ জন শ্রমিক পুড়ে মারা যাওয়ার পর
কানাডায় ‘আত্মগোপন’ করেছিলেন কারখানার মালিক দেলোয়ার হোসেন। দেলোয়ার হোসেনের মতো অনেক
ধনীই এইভাবে কানাডায় বিনিয়োগ করে সেদেশের নাগরিকত্ব কেনেন ‘বিপদে পড়লে’ দেশত্যাগ করার
বাসনায়। কেবল ব্যবসায়ীরা নয়, দেশের রাজনীতিবিদদের অনেকেই এইভাবে কানাডায় নাগরিকত্ব
কিনে রেখেছেন। কিন্তু সুযোগে পালিয়ে যাওয়ার জন্য এইভাবে কানাডায় নাগরিকত্ব কেনার দিন
শেষ হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, বিনিয়োগের বিনিময়ে বিদেশীদের ১৮ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে নাগরিকত্ব
দেয়ার বিধানটি ১৯৮৬ সালে প্রণয়ন করে কানাডা সরকার। তা ২০১২ সালে স্থগিত করে দেয়। পরে
গত ফেব্রুয়ারি মাসের বাজেট অধিবেশনে প্রায় বিশ হাজার আবেদন বাতিল করা হয়েছে।..................
‘বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, কানাডা’র গান-কবিতার আসর
টরন্টোর ‘বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিল্পী সংস্থা, কানাডা’র উদ্যোগে গত ৩১ মে শনিবার যথার্থ মিলনায়তনে
হলভর্তি দর্শকদের উপস্থিতিতে গান এবং কবিতায় সাজানো হয় তাদের প্রথম অনুষ্ঠান।
শিল্পী সাবরিনা হাসানের অসাধারণ উপস্থাপনায় সকল শিল্পীদের সমবেত কন্ঠে দু’টি রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরবর্তীতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন
শিল্পী শাহজাহান কামাল, নিঘাত মর্তূজা শর্মি, হাবিব উদ্দিন, পারভীন হোসেইন, মোহাম্মদ
আতাউল গনি, নাহিদ কবির কাকলি, নবীউল হক
বাবলু, ফারহানা শান্তা, চিত্রা সরকার,
ফারহানা আজীম শিউলী, জিবীনা সঞ্চিতা হক,
মামুন কায়সার, তানজিলা রোউসদ লাবন্য, আয়েশা ফরিদ এবং আবৃত্তি পরিবেশন করেন রাশিদা মূনির, আলী
হায়দার, দিলারা নাহার বাবু, আহমেদ
হোসেন, তাসরিনা শিখা, সুমি রহমান এবং
শেখর-ই গোমেজ।
*দ্য বেঙ্গলী টাইমের সৌজন্যে
====================
কানাডায় বাংলাদেশি ছাত্র আরো সুযোগ
পাবেঃ কিনসেলা
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার কামরুল আহসান ৫ জুন, ২০১৪ তারিখে কানাডার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের স্পীকার নোয়েল কিনসেলার সাথে রাজধানী অটোয়ার পার্লামেন্ট হিল অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়।
আলোচনাকালে হাই কমিশনার কামরুল আহসান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, কানাডার সাথে দেশটির ক্রমবর্ধিঞ্চু দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য এবং ভবিষ্যত উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সাথে কানাডার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১.৮ বিলিয়ন ডলারের উপর; যার মধ্যে কানাডায় বাংলদেশের রপ্তানী এক বিলিয়ন ডলারের বেশী এবং বাংলাদেশে কানাডার রপ্তানী অর্ধ-বিলিয়ন ডলার। বিদ্যমান তৈরি পোশাক শিল্পে অধিকতর বাণিজ্যের পাশাপাশি ভবিষ্যতে জাহাজ নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল শিল্প এবং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষিত প্রকৌশলী ও দক্ষ শ্রমিক নিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য কানাডার প্রতি আহ্বান জানান। বর্তমানে বাংলাদেশ ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জন্য জাহাজ নির্মাণ করছে উল্লেখ করে তিনি কানাডায়ও জাহাজ রপ্তানীর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ছাত্রদের ভর্তির সুযোগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করার বিষয়ে বাংলাদেশের হাই কমিশনার গুরুত্ব আরোপ করেন।
জবাবে সিনেট স্পীকার কিনসেলা কানাডায়
বাংলাদেশের ছাত্রদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভিসা শিথিলকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস
প্রদান করেন। তাঁর নিজস্ব এলাকা নিউ ব্রান্সউইকের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কানাডার
৯৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটিতেই ভবিষ্যতে আরও অধিক হারে বাংলাদেশী ছাত্র ও গবেষকরা
উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন মর্মে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সমগ্র উত্তর আমেরিকায় ব্যবসা
বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কানাডার পূর্ব-উপকূলের প্রসিদ্ধ হ্যালিফ্যাক্স সমুদ্র বন্দরের
সুবিধা গ্রহণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের
সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন স্পীকার কিনসেলা। বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চায় জাতীয়
সংসদের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে কানাডার সিনেট স্পীকার দু’দেশের সংসদ সদস্যদের মধ্যকার বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে
সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কানাডার
পার্লামেন্টে প্রশিক্ষণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে তিনি বাংলাদেশের হাই
কমিশনারকে জানান।
বৈঠকে কানাডার স্পীকারের দপ্তরের
কর্মকর্তাবৃন্দসহ নিউ ব্রান্সউইকের সেইন্ট টমাস ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট
জেফ রাইট যোগদান করেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনার কামরুল আহসানের সাথে বৈঠকে আরো
উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ইশরাত আহমেদ, কাউন্সিলর রাহাত জামান এবং
প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) দেওয়ান মাহমুদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন